পিছনের দরজা দিয়ে কাউকে নিয়ে আসার জন্য নয়, বিধান পরিষদে স্থান পেতে পারেন সমাজের সব স্তরের লোক। রাজ্য বিধানসভায় ভোটাভুটিতে বিধান পরিষদের (Legislative Assembly) প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এদিন মোট ২৬৫ জন বিধায়ক ভোটাভুটিতে অংশ গ্রহণ করেন। বিধান পরিষদ গঠনের পক্ষে ভোট পড়ে ১৯৬টি। প্রস্তাবের বিপক্ষে ৬৯। বিধান পরিষদ নিয়ে বিরোধী দলনেতার অভিযোগকেও নস্যাৎ করে দেন পার্থ।
প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এই বিধান পরিষদ গঠনের চেষ্টা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, যাঁরা হেরে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য বিধান পরিষদ গঠনের চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল। শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এবারের বিধানসভায় অ্যাডহক কমিটির রিপোর্ট পাশ করার ব্যবস্থা হয়। পিছনের দরজা দিয়ে কাউকে আনতে চাওয়া হচ্ছে না। এখানে রিক্সাওয়ালা,পড়ুয়া-সহ অনেকেই জায়গা পেতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বলে ওঁরা বিরোধিতা করছেন। আর আমাদের রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তো ভূতে তাড়া করেছে। তাই উনি এইসব বলছেন”।
শুভেন্দুর আক্রমণের পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধানকে মান্যতা দিয়েই বিধান পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ উত্তর প্রদেশ, কর্নাটকের মতো বিজেপি(Bjp)শাসিত রাজ্যে কেন বিধান পরিষদ বন্ধ করা হচ্ছে না? প্রশ্ন তোলেন পার্থ৷ বিধানসভার অধিবেশন লোকসভায় এই প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু৷ পাল্টা পার্থ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যদি এখানে কিছু পাশ করা হয়, আপনি বিরোধী দলনেতা হয়ে বলছেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভা-রাজ্যসভায় সেটা উড়িয়ে দেবেন। এটা যদি আপনার কথা হয় তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। বাংলার মানুষ দেখুক।”
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে উত্তর ২৪ পরগণা ও কলকাতায়, বাড়ছে এই দুই জেলায়