অবশেষে রদবদল হতে চলেছে মোদি-মন্ত্রিসভায়৷ সূত্রের খবর, বুধ অথবা বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা হতে পারে৷ একইসঙ্গে কিছু মন্ত্রীর দফতর বদলের সম্ভাবনাও প্রবল৷ দিল্লিতে জল্পনা তুঙ্গে, কাদের কপালে জুটবে মন্ত্রিত্ব? শোনা যাচ্ছে, কমপক্ষে আরও ২৮ জন এবার মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন।
এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা ৫৩৷ এবারের রদবদলের পর ৫৩ থেকে ৮১ হতে পারে মোদির মন্ত্রী সংখ্যা। বেশ কয়েকজন পূর্ণমন্ত্রীর হাতে রয়েছে অতিরিক্ত দায়িত্বভার৷ তা কমাতে আনা হচ্ছে নতুন মুখ। আগামী বছরেই দেশের ৬ রাজ্যে বিধানসভা ভোট৷ সেই সব রাজ্যে দলের গুরুত্ব বাড়াতে বিজেপি তথা জোটশরিক দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন৷
পশ্চিমবঙ্গের দুই বিজেপি সাংসদকে এবার মন্ত্রিসভায় আনার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এ নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শান্তনু ঠাকুর এবং নিশীথ প্রামাণিক জায়গা পেতে পারেন মোদি সরকারে৷ একটু পিছিয়ে থাকলেও বিবেচনায় আছেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো৷
মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই মুহূর্তে প্রকাশ জাভরেকর, পীযূষ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, নীতিন গড়করি, ডাঃ হর্ষ বর্ধন, রবিশঙ্কর প্রসাদ, স্মৃতি ইরানির মতো একাধিক মন্ত্রীর কাঁধে দুই থেকে তিনটি অতিরিক্ত মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এদের ভার লাঘব করা হবে। ওদিকে জোর জল্পনা অর্থমন্ত্রক নিয়ে৷ দিল্লির করিডোরে গুঞ্জন, নির্মলা সীতারমন কি নিজের পদে টিঁকবেন? এমনই জল্পনা দিল্লিতে।
জানা গিয়েছে, মন্ত্রী হওয়ার জল্পনার তালিকা প্রথমেই নাম আছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরই গত বছর মধ্য প্রদেশ দখল করে বিজেপি। রাজ্যসভায় একটি আসন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু পাননি তিনি। ফলে জ্যোতিরাদিত্যর নামই রয়েছে সবার উপরে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন সর্বানন্দ সোনোয়াল৷তিনি দাবি ছাড়ার কারণেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সোনোয়ালকেও ‘রিটার্ন গিফট’ দেবে বিজেপি। রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুতে একটি পূর্ণমন্ত্রক খালি হয়েছে কেন্দ্রে৷ সেই জায়গায় রামবিলাসের ভাই তথা চিরাগ পাসোয়ানের কাকা পশুপতি পরস জায়গা পেতে পারেন। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে পছন্দসই গুরুত্ব না মেলায় মন্ত্রিসভায় থাকতে চায়নি এনডিএ শরিক তথা নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। সূত্রের খবর, কমপক্ষে দুটো মন্ত্রকের দাবি রয়েছে নীতীশের। এর পাশাপাশি আগামী বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন থাকায় সেখান থেকেও বরুণ গান্ধী এবং এনডিএ শরিক আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেলের নাম জল্পনায় রয়েছে।