মাতৃসমা কৃষ্ণার প্রয়াণে মুকুল রায়ের বাড়ি গিয়ে শোকজ্ঞাপন অভিষেকের

0
1

বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে যখন সংকটজনক মুকুল-পত্নী কৃষ্ণা রায়, সেই সময় তাঁকে দেখতে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, মুকুলজায়া তাঁর মাতৃসমা। ছোট থেকে তাঁকে চেনেন তিনি। অভিষেকের অত্যন্ত কাছের মানুষ মঙ্গলবার ভোরে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার বিকেলেই মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পৌনে পাঁচটা নাগাদ রায় বাড়িতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।  বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন তিনি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণা রায়কে। শুভ্রাংশুর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই সময়ে বিরোধীদলে মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু। কিন্তু এই ঘটনায় রাজনৈতিক সৌজন্যের এক নয়া নজির তৈরি হয়েছিল। শুভ্রাংশুও বারবার সেকথা স্বীকার করেছেন সংবাদমাধ্যমে।

এর আগে এদিন মুকুল রায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সাড়ে তিনটে নাগাদ বিধানসভা থেকে সরাসরি সেখানে যান মমতা। প্রায় মিনিট ২৫ থাকেন সেখানে। সূত্রের খবর, কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনের পাশাপাশি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি যান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গিয়েছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত-সহ অনেকেই।

চেন্নাইয়ের (Chennai) হাসপাতালে প্রয়াত মুকুল রায়ের (Mukul Roy ) স্ত্রী কৃষ্ণা রায় (Krisna Roy)। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৫টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানকার হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন কোনও বিমান না থাকায় বুধবার দেহ নিয়ে আসা হবে কলকাতায় (Kolkata)। করোনা (Carona) আক্রান্ত হওয়ায় মুকুল-জায়া কৃষ্ণাকে ১১ মে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে থাকার পর ২ সপ্তাহ ছিলেন একমো সাপোর্টে। তখনই তার ফুসফুস (Lung) প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই। সঙ্গে যান পুত্র শুভ্রাংশু রায়। সেখানে এদিন ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কৃষ্ণা রায়।

আরও পড়ুন- পেট্রোলের আকাশছোঁয়া দামে বিকল্পের সন্ধান সিঙ্গুরের যুবকের