জামিনের শুনানি আগেই প্রয়াত এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী

0
3

জরুরী ভিত্তিতে তাঁর জামিনের শুনানির আবেদন গ্রহণ করেছিল আদালত(court)। যদিও বোম্বে হাইকোর্টে(Bombay High Court) শুনানি শুরু হওয়ার আগেই প্রয়াত হলেন এলগার পরিষদ মামলায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়া মানবাধিকারকর্মী স্ট্যান স্বামী(Stan Swamy)। ৮৪ বছর বয়সে সোমবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

গত ২৮ মে আদালতের নির্দেশে মুম্বইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল স্ট্যান স্বামীকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়ায় রবিবার ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে শেষ রক্ষা হলো না। দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের জন্য কাজ করে যাওয়া এই ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগের অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি ২০১৭ সালে পুনের ভীমা কোরেগাঁও হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গত অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদের সমাবেশে প্ররোচনামূলক বক্তৃতার কারণে এই হিংসা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিল পুলিশ। সেদিনের ঘটনার জেরে যত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ ছিলেন স্ট্যান স্বামী। বহুদিন ধরে অসুস্থ এই মানবাধিকার কর্মী পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। তাই জল খাবার জন্য স্ট্র চেয়েছিলেন। তবে তার জন্যও তাকে আদালতে আবেদন করতে। গত ডিসেম্বর মাসে তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

আরও পড়ুন:জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ: রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক তৃণমূলের

শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ হওয়ার কারণে বারবার বোম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন এই সমাজকর্মী। আদালতকে জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তালোজা জেলে থাকা নিরাপদ নয়। ওখানে চিকিৎসারও যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। জামিন না পেলে মরেই যাবে তিনি। যদিও এনআইএ-র তরফে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে পাল্টা দাবি করা হয় তার অসুস্থতার যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এমনই টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে তার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনে শুনানি ছিল সম্প্রতি। যদিও তার আগেই প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট ওই সমাজকর্মী।