পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

0
1

পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবিতে আগামী সপ্তাহেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার ঠিক আগে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, পেট্রোলের দামবৃদ্ধিতে বাজারে অনান্য দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়ছে। তাই অবিলম্বে যাতে মানুষের উপর চাপ কমানোর জন্য পেট্রোপণ্যের উপর কেন্দ্রীয় সরকারকে কর কম করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
মোদিকে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘গত ৪ মে থেকে পেট্রল, ডিজেলের দাম আট বার বেড়েছে। তার মধ্যে গত জুন মাসেই বেড়েছে ছ’বার। তার মধ্যে এক সপ্তাহে বেড়েছে চার বার। এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ তো বাড়ছেই, পাশাপাশি দেশে মুদ্রাস্ফীতির হারকে সরাসরি প্রভাবিত করছে।’ মমতার অভিযোগ, পেট্রল ও ডিজেলের দামের উপর কর এবং সেস বসিয়ে কেন্দ্রের যা আয় হয়, তাতে সেসের ভাগ বেশি হওয়ায় রাজ্য প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বিষয়টিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা৬র আর্জি, অবিলম্বে ‘পেট্রল ও ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় কর অনেকটা কমিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হোক’।
পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দামবৃদ্ধির বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ২০২০ সালের মে মাসের তুলনায় এবছর মে মাসে খুচরো পণ্যের দামের সূচক বেড়েছে ১২.৯৪ শতাংশ। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৩০.৮ শতাংশ, ডিমের দাম বেড়েছে ১৫.২ শতাংশ, ফলমূলের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। এর পেছনে প্রত্যক্ষভাবে দায়ি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে পেট্রোপণ্য থেকে সরকারের আয়ের বিষয়টি মনে করিয়ে মমতা লেখেন, ‘করোনা আবহে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তেল এবং পেট্রোপণ্য থেকে সরকারের আয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে তেল এবং পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে ৩৭০ শতাংশ। মূলত সেস, সারচার্জ-সহ কেন্দ্রীয় শুল্ক বাড়ার ফলেই এত বেশি হারে দাম বাড়ছে।’ রাজ্যে জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে পেট্রোপণ্যের দামের উপর কর খানিকটা কমিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই মোদিকেও বিষয়তি ভাবা উচিত।