বিজেপি ও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে কক্ষ সমন্বয় ও যৌথ আন্দোলনের ক্ষেত্র মসৃণ করতে লোকসভায় (loksabha) কংগ্রেসের (congress) দলনেতা বদল করতে পারেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দিল্লির রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, সাংগঠনিক রদবদলের আগে বাদল অধিবেশনে বিজেপি বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে আগে লোকসভার দলনেতা বদল করতে পারে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, লোকসভায় কংগ্রেসের বর্তমান দলনেতা অধীর চৌধুরীর পরিবর্তে এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, যাঁকে সামনে রাখলে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া তুলনামূলকভাবে মসৃণ হবে। বিশেষত, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে একক শক্তিতে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী শক্তির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলতে গেলে তৃণমূলের সাহায্য প্রয়োজন কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন-বেটি বাঁচান! মোদিকে চিঠি লিখে যোগীরাজ্যে ‘আত্মঘাতী’ গৃহবধূ
লোকসভায় কংগ্রেসের বর্তমান দলনেতা ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হলেও তিনি ঘোষিতভাবে কট্টর কংগ্রেস বিরোধী। ফলে তাঁকে সামনে রেখে তৃণমূলের সঙ্গে মসৃণ রাজনৈতিক বোঝাপড়া সম্ভব নয় বলেই মনে করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ও আছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে লড়াই করে কংগ্রেসের ফল শূন্য। কংগ্রেসের চিরাচরিত শক্তিশালী আসনগুলিতেও বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে জয়জয়কার হয়েছে তৃণমূলের। এই ব্যর্থতার পর অধীরকে সরানোর দাবি উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরেই। বিশেষত, জি-২৩ নামে পরিচিত কংগ্রেসের তথাকথিত বিক্ষুব্ধ লবির বক্তব্য, বিজেপি বিরোধিতার চেয়ে অধীর তৃণমূলের বিরোধিতাতেই বেশি জোর দেওয়ায় বাংলায় এই বিপর্যয়। এই অংশের একাধিক নেতা অধীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, তাঁকে সামনে রাখলে সংসদে তৃণমূলের সঙ্গে সরকার বিরোধী যৌথ আন্দোলন সহজ হবে না। এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী স্বর তীব্র করার বার্তা হিসাবে অধীর চৌধুরীকে সরানো হতে পারে বলে জল্পনা। লোকসভায় ৫২ সদস্যবিশিষ্ট কংগ্রেস দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উঠে আসছে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর ও আনন্দ সাহিবের সাংসদ মনীশ তিওয়ারির নাম। আবার ওয়েনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী লোকসভায় দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ। যদিও রাহুলের নাম পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে একরকম চূড়ান্ত বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতারা।