বিধানসভার উপনির্বাচনগুলি এখন যাতে না হয়, সেটাই চাইছে BJP. সূত্রের খবর, তারা নির্দিষ্ট ছক কষে এগোচ্ছে। একেবারে শীর্ষমহল থেকে এগুলি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
বিজেপিমহলের খবর, ছক হল-
১) ৬ মাসের মধ্যে Mamata Banerjee কে বিধায়ক হতে না দেওয়া। পুরনো আইনে এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে আবার শপথ নিতে পারতেন। কিন্তু জয়ললিতাকেন্দ্রিক একটি রায় দেখিয়ে বিজেপি চাপ দেবে একই ব্যক্তি আবার শপথ নিতে পারবেন না। নতুন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। ফলে উপনির্বাচনে মমতা জিতে আসা পর্যন্ত অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হতে হবে। বিজেপির ধারণা এতে অস্থিরতা তৈরি করা যাবে। সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে। তারা এ নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে কমিশনের উপর যাতে করোনার যুক্তিতে উপনির্বাচন এখন না করা হয়।
২) তৃণমূলের কিছু বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির দুই নেতা কথা বলছেন। এদের সঙ্গে নাকি ভোটের আগেই কথা হয়েছিল সরকার গঠনে সংখ্যা কিছু কম হলে সমর্থন দেওয়ার। উপনির্বাচন আটকে দিলে যে মুখ্যমন্ত্রী বদলের অস্থিরতা হবে তখন আবার তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা হতে পারে। সেই কাজ শুরু হয়েছে।
৩) যদি অস্থিরতার জটিল চেহারা দেওয়া যায় তাহলে সেই সুযোগে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারির চেষ্টা করবে বিজেপি।
৪) বেশ কয়েকটি রাজ্যে তৃণমূলের গায়ে মুসলিমদরদী তকমা লাগিয়ে তীব্র প্রচার শুরু করছে বিজেপি। সেখানে হয়ত তৃণমূল নেই। কিন্তু অবিজেপি যে দল তৃণমূলের জোটসঙ্গী হতে পারে লোকসভায়, তাদের হিন্দু ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরানো হবে। যাতে তারা তৃণমূলের সঙ্গে বেশি মাখামাখি না করে।
৫) কেন উত্তরবঙ্গে আলাদা রাজ্য দরকার, সেখানকার মানুষকে এটা বোঝাতে সর্বশক্তিতে প্রচারে নামছে আর এস এস এবং তাদের বন্ধু সংগঠনগুলি। একই কাজ হবে জঙ্গলমহলেও। তবে অগ্রাধিকার উত্তরবঙ্গে।
বিজেপির শীর্ষমহল আপাতত এই ছকে চলবেন। সঙ্গে আরও কিছু পরিকল্পনা। তবে এ ব্যাপারে দলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। আর এস এসের সূত্র বলছে, আগামী চার পাঁচ মাসের মধ্যে বাংলায় বড়সড় রণকৌশল কার্যকর করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন- সোমবার বিজেপির পুরসভা ঘেরাও কর্মসূচি, শিকেয় উঠবে কোভিড বিধি?