ফেসবুক লাইভে মমতা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা কবীর সুমনের, খোঁচা বাম আমলকে

0
1

সোমবার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন কবীর সুমন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তবে আগের থেকে অনেটাই সুস্থ হয়ে উঠছেন ‘গানওয়ালা’। গায়ক বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সুস্থতার কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে ঘোষণা করছেন- ‘আবার এসেছি ফিরিয়া’। পাশাপাশি চিকিত্সক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সুমন।

ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, “আমার একটু ঠান্ডা লেগেছিল। ঢোক গিলতে গেলে লাগছিল। বুকে কোনও ব্যথা নেই, শ্বাসকষ্ট নেই। এই অবস্থায় যোগাযোগ করি ডাক্তার ঘোষের সঙ্গে। তিনি আমায় চমৎকার ভাবে বলেন, আবার সে এসেছে ফিরিয়া। তার পর তাঁরই ব্যবস্থাপনায় বাড়ির বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে রাজি হই। এ রকম অদ্ভুত অবস্থায় কোনও দিন আমি পড়িনি এই যে সুস্থ বোধ করছি এর মূলে রয়েছে আমার চিকিৎসক বন্ধুরা। সোমবার ভোর থেকে আমার চিকিৎসা শুরু হয়। অসামান্য তৎপরতার সঙ্গে তাঁরা আমার চিকিৎসা শুরু করেন। মাত্র তিন দিন হয়েছে। এখন অনেক সুস্থ বোধ করছি। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যাঁরা ব্যস্ত আছেন, রাতের পর রাত জাগছেন। মলিনতা নেই, হাসি ছাড়া কিছু নেই তাঁদের মুখে। এবং সস্নেহে তাঁরা এই কাজ করছেন। এই স্নেহের জায়গা বড়ই চমৎকার।”

একই সঙ্গে বাম সরকারের আমলে পশিমবঙ্গের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোকে কটাক্ষ করেন কবীর সুমন। তাঁর কথায়, “সে সময় মানুষ সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পেতেন। এখন মানুষ যেচে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কৃতিত্ব রাখছে তা অতুলনীয়। এর মূল্যায়ন সভ্য মানুষ কবে করবেন তা জানি না।”

উল্লেখ্য, সোমবারই কবীর সুমনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন সুমন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাক্তার সৌমিত্র ঘোষ কবীর সুমনের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন। সেখানে গিয়ে সুমনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও।

আরও পড়ুন-‘রাজ্য তাঁকে নিরাপত্তা দেয়, তবুও অযথা দোষারোপ’, হাইকোর্টে টিঁকলো না শুভেন্দুর আর্জি

ফেসবুক লাইভে কবীর সুমন জানিয়েছেন, ‘গুণগুণ করে সুর ভাঁজছিলাম। বৈরাগী ভৈরব, ভাটিয়ারি গাইছিলাম। একটু আগে আমার তৈরি রাগ প্রতিমা গেয়েছি… যখন পুরোপুরি পারব তখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাব। নিজের রাগ গাইব…খেয়াল আমাকে গাইতেই হবে। বাংলা ভাষা থাকবে যদি মমতা থাকেন। মমতা আসেন সেটাই ভরসা। এই যে বাংলা খেয়াল গাইতে পারছি তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান’।

সুমন জানান, ফ্রান্স, তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি, হল্যান্ডের সেরা হাসপাতাল দেখেছেন তিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলো তার থেকে অনেক এগিয়ে। তাঁর কথায়, “এ রাজ্যের হাসপাতালগুলো সবচেয়ে যে বিষয়টিতে এগিয়ে তা হল মানবিক স্পর্শ। বাইরে দেশগুলোতে আন্তরিক ভাবে রোগীদের দেখাশোনা করলেও তার মধ্যে একটা পেশার আস্তরণ রয়েছে। কিন্তু এখানে রয়েছে একটা আত্মীয়তার জায়গা। এই পরিবর্তন আনতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গর সরকার।”