দেশের  চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদি

0
2

আজ বৃহস্পতিবার ছিল জাতীয় চিকিৎসক দিবস ৷ এদিন একটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি বলেন, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই ভারত মহামারির মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে ৷

একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, মহামারি মোকাবিলায় তাঁর সরকারও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে ৷
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দেশে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ মোদি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি ব্যথিত ৷ তবে একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বহু মানুষ সেরেও উঠেছেন ৷ এটা চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই সম্ভব হয়েছে ৷ পাশাপাশি, এর জন্য স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদেরও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷
তবে দেশে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন মোদি ৷ যদিও এর জন্য পূর্বসূরিদের উপরই দায় ঠেলেছেন তিনি ৷ তাঁর সাফ কথা, দশকের পর দশক ধরে ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে অবহেলা করা হয়েছে ৷ সেই কারণেই মহামারি আবহে রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ৷

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের দেশে জনসংখ্যার বিপুল চাপ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভাল ৷ প্রতি লাখে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা আমাদের দেশে উন্নত রাষ্ট্রগুলির তুলনায় অনেক কম ৷’’

করোনায় মৃত্যু প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি বলেন, একজনের মৃত্যুও অত্যন্ত দুঃখের ৷ কিন্তু ভারত করোনা ভাইরাসের হাত থেকে লাখ লাখ মানুষকে রক্ষাও করেছে ৷ আমাদের পরিশ্রমী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদেরই এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ৷

২০১৫ সালের ১ জুলাই মোদিসরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ চালু করে এই লক্ষ্য নিয়ে যে ভারতে ডিজিটাল ক্ষমতায়িত সমাজ গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান যে কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভারতের হাতে তৈরি ডিজিটাল সমাধানকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব। তিনি এর সঙ্গে যোগ করে জানান, মারণ করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে দমন করতে কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ আরোগ্য সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়ে বলেছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মের শংসাপত্র, বিদ্যুতের বিলের টাকা প্রদান, আয়কর রিটার্ন এবং আরও অনেক পরিষেবা দ্রুত ও সহজে হয়ে যাচ্ছে এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ৬ বছরের পূর্তিতে মোদি বলেন, ‘‌ইউপিআই ব্যবহার করে দেশের মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ ডলার লেনদেন করেন। এক দেশ, এক রেশন কার্ড প্রকল্প যা এই ডিজিটাল মিশনের আওতায় সম্ভব হয়েছে তা বিশেষ করে পরিযায়ী ও অভিবাসী শ্রমিকদের সাহায্য করেছে।