অসুস্থ ছাত্রকে লালগড় থেকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করালেন মন্ত্রী বিরবাহা

0
1

মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার উদ্যোগে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি করা হল ক্যানসার আক্রান্ত দশম শ্রেণির ছাত্রর চিকিৎসা শুরু হল। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত বেজের (Sushanta Bej) হাঁটুর ক্যানসার (Cancer) শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। তবে সুস্থ করে তোলার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার, সকালে লালগড়ের (Lalgar) বাড়ি থেকে রোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে কলকাতায় আসেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)।

এদিন চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে (Chittaranjan Cancer Hospital) রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন বীরবাহা। পরে তিনি জানান, ছাত্রটিকে সারিয়ে তোলার সব রকম চেষ্টা চলছে।

গাল ভরা প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকা মেলেনি। ফলে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঋণে জর্জরিত লালগড়ের দরিদ্র দিনমজুর পরিবারটি। কীভাবে সন্তানকে সুস্থ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। খবর পেয়ে হতদরিদ্র পরিবারটির পাশে দাঁড়ান বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। লালগড়ের সিজুয়া গ্রামের সুশান্ত বেজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী। তারা জানায়, টাকার অভাবে অসুস্থ ছেলেকে বেঙ্গালুরু থেকে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। পরবর্তী চিকিৎসারও টাকা নেই। মুশকিল আসান হয়ে ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যর বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা ছাত্রটির চিকিৎসাভার তুলে নেন নিজের কাঁধে। ব্যবস্থা করেন কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করানোর।

বছর সতেরোর দশম শ্রেণির ছাত্র সুশান্তর পায়ের হাড়ে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাকে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জমি বন্ধক দিয়ে ধার করে পরিবারটির প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম ছাত্রটির চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কোনও টাকাই আসেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। ফলে, টাকার অভাবে ছেলেকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে সুশান্তর পরিবার।

অসুস্থ সুশান্তে বাবা রঞ্জিত বেজ জানান, “ছেলের বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। বীরবাহা আমাদের কাছে ভগবানের মতো হাজির হন”।