বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহ ও মুর্শিদাবাদের পুলিশ পরিকাঠামো আরও জোরদার করতে আসরে নেমেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) পুলিশ জেলাকে ভেঙে দুটি পৃথক পুলিশ জেলা করা হয়েছে। মু্র্শিদাবাদে আরও একটি পুলিশ জেলা করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। পাশের জেলা মালদহে (Maldah) একটিই পুলিশ জেলা রয়েছে।
সরকারি সূত্র বলছে, তা ভেঙে দুটি পুলিশ জেলা করার প্রস্তাব গিয়েছে নবান্নে (Nabanna)। সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছরের মধ্যেই মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর ছাড়াও আরও একটি পুলিশ জেলার ঘোষণা হতে পারে। তেমনই মালদহের ক্ষেত্রেও মালদহ পুলিশ জেলা ও উত্তর মালদহ পুলিশ জেলা বলে দুটি ভাগে ভাগ হতে পারে।
পুলিশ জেলা হলে নতুন পুলিশ সুপার নিযুক্ত হবে। কিন্তু, জেলাশাসক একই থাকবেন। পরবর্তী পর্যায়ে গোটা জেলার সামগ্রিক পুলিশ-প্রসাসন আলাদা করার প্রয়োজন হলে রাজ্য তা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুটি জেলা ভেঙে ৫টি ভাগ হলে ৫ জন জেলাশাসক নিয়োগ করতে হবে রাজ্যকে। কিন্তু, রাজ্য আপাতত সীমান্তবর্তী দুই জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও জোর দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করছে।
মুর্শিদাবাদ বেশ বড় জেলা। বহরমপুরে পুলিশ সুপারের অফিসে যাতায়াতে জঙ্গিপুর ও লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা হত। সে জন্য নানা মহলে দরবারের পরে রাজ্য সরকার গত বছর জঙ্গিপুরকে আলাদা পুলিশ জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৬১টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। দুটি পুরসভাও রয়েছে।
মালদহের আয়তনও কম নয়। সেখানে সীমান্তে বাংলা রয়েছে। উপরন্তু, বিহারের অনেকটা এলাকাও মালদহের গা ঘেঁষে। মালদহের জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ লক্ষ। সেখানে দুটি পুলিশ (Police) জেলার প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু হয়েছে। একটির সদর দফতর মালদহেই থাকবে। আরেকটি উত্তর মালদহের চাঁচলে হতে পারে।
আরও পড়ুন-ভোট-পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে কেন্দ্র, রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্যে পুলিশ জেলার সংখ্যা ৩৪টি। তৃণমূল জমানায় মেদিনীপুর ভেঙে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে তিনটি বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার (Diamond Harbour) এবং সুন্দরবন (Sundarbon) পুলিশ জেলা হয়েছে। সবশেষে হয়েছে মুর্শিদাবাদ ভেঙে জঙ্গিপুর (Jangipur) পুলিশ জেলা।
নতুন পুলিশ জেলা হলে এলাকাবাসীদের অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করেন মুর্শিদাবাদ ও মালদহের ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠনের কর্তারা। তাঁরা জানান, সীমান্তবর্তী জেলায় চোরাচালান, নারী পাচার, মাদকের কারবারের জাল চড়াতে অনেক অপরাধী দল সক্রিয়। সে ক্ষেত্রে আলাদা পুলিশ জেলা হলে নিরাপত্তার পরিকঠামো বাড়বে। নজরদারিও আগের চেয়ে বেশি হবে।