জৈন হাওয়ালা মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। সম্প্রতি এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। যদিও সোমবার পাল্টা ধনকড় বলেন, ওই মামলায় তাঁর নাম চার্জশিটে নেই। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলা রাজ্যপালের অস্বস্তি বাড়ালো তৃণমূল(TMC)। জানিয়ে দেওয়া হল, এই মামলা হারিয়ে গিয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। এমনকি এটাও জানানো হয়েছে, ওই মামলার ডাইরির পাতায় শেষ নামটি রয়েছে জগদীপ ধনকড়ের।
বুধবার তৃণমূল ভবনে জৈন হাওয়ালা মামলা ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়(Sukhendu Sekhar Roy) ও রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু(proptosis)। সেখানে সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, রাজ্যপাল যা বলছেন তা অর্ধসত্য। জৈন হাওয়ালা মামলাতে অভিযুক্ত তিনি। বহু পুরনো এই মামলা হারিয়ে গিয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। এই মামলায় ডায়েরির পাতায় শেষ নাম রয়েছে জগদীপ ধনকড়ের। কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো জগদীপ ধনকড় এবং রাজ্যপাল কি একই ব্যক্তি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘CBI-এর অভিযোগ বলেই জমায়েতের তত্ত্ব মানতে হবে’? কোর্টের প্রশ্ন সলিসিটর জেনারেলকে
পাশাপাশি রাজ্যপাল ফেসবুক-টুইটারের অপব্যবহার করছেন বলে এদিন অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট বিধি প্রণয়ন করুক কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের রাজ্যপাল বিজেপি নেতার মত আচরণ করছেন। এছাড়াও ধনকড়ের ভয়ংকরের উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল। ক্যাগকে দিয়ে জিটিএ-এর অডিট করতে বলেছেন তিনি। কিন্তু সমস্ত তথ্যই পার্বত্য দপ্তরের মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তথ্য আছে। চাইলেই সব তথ্য পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু তা না করে অডিটে কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদমাধ্যমের কাছে সরব হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ব্রাত্য বসু।