বাংলার মনীষী ও বিশিষ্ট জনদের ( legends of Bengal) নিয়ে চর্চা এবং তাঁদের জন্ম বা প্রয়াণবার্ষিকীতে (birth and death anniversary celebration) বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে একাধারে কেন্দ্র সরকার এবং বিজেপি(Central Government and BJP)। ভোটে জিততে না পারলেও বাংলার মানুষের মনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে এবং জায়গা করে নিতে এই নতুন উদ্যোগ বলে দলীয় সূত্রে মনে করা হচ্ছে। আর তাই রামমোহন রায়(Ram Mohan Roy), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore), ঋষি অরবিন্দ (Rishi Aurobindo), সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে নানা ধরণের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচির চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক (information and cultural ministry)।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের ‘জাগৃত ভারত’ (jagrito Bharat project)কর্মসূচির অধীনে রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০ বছরের জন্মোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্তে জাতীয় সম্মেলন, আঞ্চলিক কর্মসূচি হবে। সমস্ত রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারগুলিতে ‘রামমোহন রায় নলেজ সেন্টার’ খোলা হবে। সেখানে ভারতের ইতিহাস, দর্শন, সমাজ, ধর্ম এবং বিজ্ঞানের গ্রন্থে সমৃদ্ধ তাঁর নামাঙ্কিত ই-লাইব্রেরি গঠনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে অর্থাৎ ভোটের আগেই, রামমোহনের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, রামমোহন শুধু দেশের আত্মসম্মানবোধই বাড়াননি, নারীদের মর্যাদার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। তাই জাগৃত ভারত’ কর্মসূচির মাধ্যমে রামমোহন রায়কে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘আধ্যাত্মিক ভারত’ কর্মসূচিতে ঋষি অরবিন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালনের জন্যও উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘রচনাত্মক ভারত’ কর্মসূচির অধীনে ভারতীয় এবং বিশ্ব সিনেমার বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য বইয়ের ডিজিটাল সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গ্রন্থাগারে সেগুলি সুলভে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে।