ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আরও তথ্য সামনে এল। সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের কর্মীদের বেতনের টাকা পশ্চিমবঙ্গ ফিনকর্প থেকে তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, উপযুক্ত নথি ছাড়া সরকারি সংস্থা ফিনকর্পের সঙ্গে দেবাঞ্জন কীভাবে যুক্ত হলেন। এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে যে বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে ফিনকর্পকে যুক্ত করা হয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সঠিক নথি যাচাই না করে কীভাবে অ্যাকাউন্ট খুললেন?
কসবায় অফিস ছিল ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের। সেখানে একাধিক কর্মী কাজ করতেন। তাঁরা অনেকেই এই প্রতারণা-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই অফিসের কর্মীদের বেশির ভাগের বেতন পশ্চিমবঙ্গ ফিনকর্পের মাধ্যমে দেওয়া হত বলে সূত্রের খবর। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ফিনকর্পে কোনও সংস্থা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ব্যাঙ্ককে যুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে কলকাতা পুরসভার নাম করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। তবে ওই অ্যাকাউন্ট খুলতে কী কী নথিপত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে তন্দন্তকারী আধিকারিকরা।
গত শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, যে ভাবে কোভিশিল্ড বা স্পুটনিক ভি-দেওয়ার নামে অন্য ‘সলিউশন’ দেওয়া হচ্ছিল তাতে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের চরম বিপদ হতে পারত। অথচ প্রাণঘাতী বিপজ্জনক এই কাজ দিনের পর দিন করে গিয়েছেন দেবাঞ্জন । সব জেনেশুনে সাধারণ মানুষকে এভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া কখনই উচিত হয়নি দেবাঞ্জন দেবের। কয়েক হাজার মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাদের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন দেবাঞ্জন। ইতিমধ্যেই ভুয়ো টিকাকরণকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব এবং তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির পাশাপাশি খুনের মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন-কেন বাংলা ভাগের দাবি? বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ
শনিবার আলিপুর আদালতে পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা) যুক্ত করার আর্জি জানায়। এবং আদালত তা মঞ্জুর করে। দেবাঞ্জন আগেই গ্রেফতার হয়েছিল। তাঁর ৩ সহযোগীকেও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।