সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সাড়া না পেয়েই দেবাঞ্জন ভুয়ো ভ্যাকসিন কিনেছিল!

0
2

কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব জানিয়েছেন, সেরাম ইনস্টিটিউট সাড়া না দেওয়ায় কেনা হয়েছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন।

পুলিশের জেরার মুখে পড়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের। সূত্রের খবর, দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটকে মেল করেছিল দেবাঞ্জন। সেরাম তাতে কোনও রিপ্লাই না দেওয়ায় কেনা হয়েছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুটি শিবির খুলে ভুয়ো টিকাকরণ করে দেবাঞ্জন দেব। পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে, কেএমসি-র ডেপুটি ম্যানেজারের নাম করে খোলা হয় ভুয়ো মেল আইডি।

গত শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, যে ভাবে কোভিশিল্ড বা স্পুটনিক ভি-দেওয়ার নামে অন্য ‘সলিউশন’ দেওয়া হচ্ছিল তাতে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের চরম বিপদ হতে পারত। অথচ প্রাণঘাতী বিপজ্জনক এই কাজ দিনের পর দিন করে গিয়েছেন দেবাঞ্জন । সব জেনেশুনে সাধারণ মানুষকে এভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া কখনই উচিত হয়নি দেবাঞ্জন দেবের। কয়েক হাজার মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাদের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন দেবাঞ্জন। ইতিমধ্যেই ভুয়ো টিকাকরণকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব এবং তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির পাশাপাশি খুনের মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন-আলাদা উত্তরবঙ্গের আবেগে ধুনো দিয়েও একসাথে থাকার কথা বললেন দিলীপ

শনিবার আলিপুর আদালতে পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা) যুক্ত করার আর্জি জানায়। এবং আদালত তা মঞ্জুর করে। দেবাঞ্জন আগেই গ্রেফতার হয়েছিল। তাঁর ৩ সহযোগীকেও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।