খাদ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য জিনিসের দাম দ্রুত কমবে, আশ্বাস দিল কেন্দ্র

0
2

মারণ করোনাভাইরাসের(coronavirus) জেরে দেশের প্রায় সব রাজ্যে চলছে লকডাউন। ফলস্বরূপ থমকে ধরেছে অর্থনৈতিক কাজকর্ম। এই পরিস্থিতিতে নাজেহাল অবস্থা দেশবাসীর। হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বিগত এক বছরে প্রায় ৬০ টাকা বেড়েছে ভোজ্যতেলের মূল্য। অন্যান্য জিনিসের দামও লাগামছাড়া। এমন গুরুতর পরিস্থিতির মাঝেই এবার আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যম(K v Subrahmanyam)। শুক্রবার দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানালেন, শীঘ্রই খাদ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমতে চলেছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আর্থিক উপদেষ্টার সুব্রহ্মণ্যম জানান, ‘আনলক পর্বের সঙ্গে শীঘ্রই চালু হবে সমস্ত অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ। এবছর বর্ষাও সঠিক সময়ে আসায় চাষবাসের উন্নতি হবে। আর তাই দ্রুত কমতে শুরু করবে খাদ্যসামগ্রীর দাম। আয়ত্তে চলে আসবে পাইকারী মুদ্রাস্ফীতি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র পাইকারী মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়বে না প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের জন্য।

আরও পড়ুন:ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড : দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করতে চাইছে পুলিশ

উল্লেখ্য, লকডাউনের কারণে গত মে মাসে পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার ভয়াবহভাবে বেড়ে যায়। শতাংশের হিসেবে তা ছিল ১২.৯৪ শতাংশ। মার্চ মাস থেকে যদি হিসাব করা যায় এই মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে বেড়ে চলেছে তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে। গত মার্চ মাসে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৩৯ শতাংশ। এপ্রিল মাসে তা পৌঁছে যায় ১০.৪৯ শতাংশে। এরপর মে মাসে তা রেকর্ড গড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে মূলত পেট্রোলিয়ামের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি এই মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী। বিগত কয়েক মাসে দেশজুড়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে হুড়মুড়িয়ে কোথাও কোথাও পেট্রোল-ডিজেলের দাম ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। আর এটাই মূল কারণ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর এই বিশাল পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধির।