কালিয়াচক একই পরিবারের চারজনকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্তকে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ ও সিআইডি (Cid)। মঙ্গলবার, বিকালে কালিয়াচকের (Kaliachak) ১৬ মাইল এলাকার গ্রামে ওই বাড়িতে মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদকে (Asif Md) পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে যান তদন্তকারীরা। ছিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া (Alok Rajoriya), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিশ সরকার, ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ, কালিয়াচক থানার আইসি মদনমোহন রায়-সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য পদস্থ কর্তারা।
মৃত চারজনের মডেল স্বরূপ চারটি পূর্ণাবয়ব পুতুল নিয়ে যাওয়া হয় গুরুটোলা গ্রামের বাড়িতে। এরপর ধৃত আসিফ মহম্মদকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। আসিফের দাদা আরিফকেও (Arif) সঙ্গে নিয়ে যায় পুলিশ।
কীভাবে বাবা-মা, নাবালিকা বোন এবং বৃদ্ধা ঠাকুমাকে ধৃত আসিফ মহম্মদ খুন করেছিল, তার আগে কীভাবে মাদকদ্রব্য তাদেরকে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়েছিল সবটাই পুলিশ তদন্ত করে দেখে। সূত্রের খবর আসিফ নিজেই সব দেখিয়ে দেয়। মৃত জাওয়াদ আলি সহ তাঁর স্ত্রী, নাবালিকা মেয়ে এবং বৃদ্ধা মায়ের পোশাক পরানো হয় পুতুল তৈরি করা হয়। সেই পুতুলগুলিকে মডেল আকৃতির তৈরি করে করেই চলে তদন্ত।
যদিও মঙ্গলবার কালিয়াচকের চারজনকে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। কিন্তু বিকেল গড়াতেই জেলা পুলিশ ও সিআইডি কর্তারা আচমকাই ধৃতকে নিয়েই কালিয়াচকের ১৬ মাইল এলাকায় বাড়িতে যান। এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে আশেপাশের বাসিন্দারা ভিড় করেন সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা এলাকায় নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই খুনের পুনর্নির্মাণের তদন্ত।
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, এদিন কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ধৃত আসিফ মহম্মদ ছাড়াও তার দাদা রাহুল শেখ ওরফে আরিফকেও নিয়ে আসা হয়েছিল। এই খুনে তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মোবাইলের নীল আলো থেকে দূরে থাকুন, চোখ সরিয়ে রাখুন





































































































































