মানুষের পাশে দ্রুত পৌঁছতে টোটো কিনলেন ব্যতিক্রমী বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী

0
1

তিনি রিকশা চালাতেন। এখন তৃণমূলের বিধায়ক। কিন্তু জীবনযাত্রায় কোনও বদল আসেনি৷

আজও বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী মিশে আছেন মাটির সঙ্গেই৷

কোভিড অতিমারি বা ইয়াস ঝড়ের তাণ্ডবে তাঁর এলাকার প্রতিটি বিপন্ন মানুষের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি, মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আর এবার থেকে আরও দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছাতে রিকশার বদলে টোটো কিনে নিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। টোটোতে বসা ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “আপনাদের বিধায়ক, আপনাদের সেবক। এতদিনে তার আপনাদের আশীর্বাদে, দয়া আর দানে একটা নিজের বাহন হল। যেকোনও দিন, যেকোনও সময় এই বাহন বিধায়ককে নিয়ে পৌঁছে যাবে আপনার দরজায়।”

মনোরঞ্জনবাবু নিজেই একসময় বলেছিলেন, “তার রিকশায় একদিন উঠেছিলেন ‘হাজার চুরাশির মা’ মহাশ্বেতা দেবী। জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘জিজীবিষা’ শব্দের অর্থ৷ আর এরপরই মনোরঞ্জন ব্যাপারী যেন অন্য মানুষ হয়ে ওঠেন৷ হয়ে ওঠেন বাংলার ‘দলিত লেখক’। রিকশাচালক থেকে সাহিত্যিক হওয়া এই মনোরঞ্জন ব্যাপারীকেই এবার বলাগড় থেকে বিধানসভার প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচিত হাফ শার্ট আর গলায় গামছা দিয়ে রিকশা চালিয়েই মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। যাত্রী বসার আসনে সাজানো ছিল তাঁর লেখা ২১ টি গ্রন্থ। রিকশা চালিয়ে তাঁর প্রচার পর্বও ছিলো নজর কাড়া৷ বলাগড় থেকে জয় ছিনিয়ে আনেন মনোরঞ্জন। আর তারপর থেকেই জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন মনোরঞ্জনবাবু৷ এই বিধায়ককে নিয়ে আজ গর্বিত বলাগড়৷

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের তরফে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন: বরাত বাতিল করল রাজ্য

এলাকার মানুষের পাশে আরও দ্রুত, আরও নিবিড়ভাবে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই এবার তিনি কিনে ফেললেন টোটো, যার সামনে লেখা, ‘বলাগড়ের বিধায়ক’৷

রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের পর ঝাঁ চকচকে এসইউভি কেনাই যেখানে দস্তুর, সেখানে টোটো কেনা মনোরঞ্জন ব্যাপারী ব্যতিক্রমী তো বটেই৷