“২২ টা বছর ধরে তো আমি শুধু প্রতারিত হয়েছি। কিছুই পাইনি। তাই ডিভোর্সের মামলা করেছি।” নিজের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee) সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shobhon Chatterjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media)পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় শোভন জানিয়েছেন, “আমি তো তখন ২৪ ঘণ্টাই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আর সেই সুযোগে আমার বাড়িতে তখন ব্ল্যাক হোল তৈরি করেছিল রত্না। ওই বাড়িতে চার তলায় একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরে পার্টির কোনও ছেলেরই আড্ডা দেওয়ার কথা নয়। বাড়ির নিচে অফিস রয়েছে। গ্যারেজ আছে। অফিসেই পার্টি ওয়ার্কারদের সঙ্গে কথা বলতাম। কিন্তু ওই ঘরে যাঁদেরকে দেখা গেছে, যাঁদেরকে যে অবস্থায় দেখা গেছে, তা আর এখানে বললাম না।”
শোভন আরও বলেন, “রত্নার সঙ্গে দোলনায় যে ছেলেটি বসে রয়েছে তার নাম অভিজিৎ মৈত্র ওরফে পিকলু। আমার থেকে বয়সে ছোটো। আমি এ নিয়ে খুব বেশি আলোচনায় যেতে চাই না। কিন্তু আমি যতক্ষণ বাড়িতে থাকতাম, তখনও একতলার অফিসে ওরা একসঙ্গে থাকত।”
কে এই পিকলু? প্রাক্তন মহানাগরিক পিকলুর পরিচয় জানিয়ে বলেন, “পিকলু আগে বেহালার ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডে থাকত, এখন নাগতলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে আমি আর আলোচনা করতে চাই না। কিন্তু যে অবস্থায় ছবিগুলো রয়েছে, সেগুলিই তো বলে দিচ্ছে আসল কথা! ও কী কেবলই পার্টি ওয়ার্কার!” শোভন শুধু স্ত্রী রত্নার সঙ্গে পিকলু নামক ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হননি।
ফেসবুকের কয়েকটি স্ক্রিন শটও তুলে ধরেছেন ভিডিয়ো বার্তায়। শোভনবাবুর দাবি এই ছবিগুলি পিকলু মৈত্র নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, রত্না এবং পিকুলর কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আনেন শোভন-বৈশাখী। শুধু তাই নয় শোভনের দাবি রত্না- পিকলু নাকি পার্টি বৈঠকে যাওয়ার নাম করে নিজেরাই পার্টি বসাতেন। আর সেখানে অশালীন নাচও হত। আর সবশেষে শোভন বলেন, “আমি যখন রত্নার ব্যাভিচারী জীবনের পরিচয় পেলাম, টাকা তছরূপের অভিযোগ পেলাম, তখনই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিলাম।”


































































































































