দিকে দিকে বিজেপিতে ভাঙনের আবহে মুকুল-শুভ্রাংশুর সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক

0
1

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিধানসভায় বিপুল জয়ের পরই আভাসটা পাওয়া গিয়েছিল। যত দিন যাচ্ছে বিজেপিতে ভাঙন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতা কর্মীরা এবার ঘরে ফেরার বার্তা দিচ্ছেন। এই আবহে শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাকস্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করেন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু।

এদিকে মুকুল রায় উত্তরবঙ্গের সাংসদদের ফোন করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে অনুঘটকের কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। আবার বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তেরও তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় জেলা জেলায় একাধিক জায়গায় নেতা কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শুক্রবার তৃণমূল ভবনে ঘরে ফেরেন মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু। তার পর দিনই শনিবার মুকুল শুভ্রাংশুকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন অভিষেক। দলে মুকুল রায়ের ভূমিকা কী হবে তা তাঁকে অভিষেক বুঝিয়ে দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবারই একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলে মুকুলের ভূমিকা নিয়ে। তা নিয়েই অভিষেকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আর এক বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে ‘জল্পনা নিয়ে কী বলব’ মন্তব্য করে বিষয়টি সব্যসাচী আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে সল্টলেকের সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুল রায়ে সেই লুচি-আলুরদমের রাজনীতি কেউ ভোলেননি। ফলে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে অবাক হবেন না রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।

অন্যদিকে শুধু মুকুল-শুভ্রাংশু নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে চেয়ে আরও বেশ কিছু বিজেপি নেতা ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বেসুরো নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সুনীল সিংহও। শুধু তাই নয় বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তপন সিনহা। তিনি বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। বেসুরো গাওয়ার তালিকায় রয়েছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ গুহও।

তৃণমূলে ফেরার হিড়িক পড়েছে বীরভূমের বোলপুরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেও। সেখানে টোটোতে মাইক নিয়ে বিজেপি পতাকা বেঁধেই কয়েক জনকে তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানাতে দেখা গেল। এই আবহে এখন দেখার এই দলবদল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কবে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে।