জিতিন প্রসাদ যোগ দিতেই অজানা আশঙ্কায় মোদি-শাহের কাছে যোগী

0
1

পর পর ‘অশুভ’ বার্তা !

প্রথমত, যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা তো দূরের কথা, একটি শব্দও খরচ করেননি নরেন্দ্র মোদি।

 

দ্বিতীয়ত, যোগীকে কার্যত আঁধারে রেখেই বিজেপি শীর্ষ মহল দলে নিয়ে এলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতা জিতিন প্রসাদকে৷

ওদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় অজানা আশঙ্কায় কম্পমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ রাজনৈতিক মহল বলছে মোদি-যোগী দূরত্ব বাড়ছে, আর সেই কারণেই পরিস্থিতি ‘সামাল’ দিতে দুদিনের সফরে তড়িঘড়ি দিল্লিতে যোগী৷ হঠাৎ এভাবে মোদি-শাহের কাছে পৌঁছে যাওয়ার পিছনে যোগীর
অস্তিত্ব সংকটকেই গুরুত্ব দিচ্ছে এই মহল৷ এই সফরে যোগী কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের সঙ্গে। এই জোড়া বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি যোগীকে পিছনের সারিতে পাঠিয়েই ওই রাজ্যে ভোটে যাবে বিজেপি?
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগীর পারফরম্যান্সে খুশি নন মোদি। হাথরাস-কাণ্ড থেকে করোনা মোকাবিলা, একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়েছেন যোগী। ওদিকে উত্তর প্রদেশের সাংসদ মোদি৷ এই ব্যর্থতার আঁচ তাঁর গায়েও লাগছে৷ দল এবং প্রশাসনের অন্দরেও যোগীকে নিয়ে নানা প্রশ্নের জোয়ার উঠেছে। তবে এখনও পর্যন্ত যোগী সম্পর্কে নেতিবাচক কোনও কথা বিজেপি বলেনি৷ কিন্তু দিল্লির কাজকর্মে যোগী সন্তুষ্ট নন বলেই জানা গিয়েছে৷
দিনকয়েক আগে বিজেপির সহ-সম্পাদক তথা উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষক রাধামোহন সিং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং স্পিকার হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিতের সঙ্গে দেখা করেন। এর পরেই জল্পনা চরমে ওঠে। প্রশ্ন দেখা দেয়, বিজেপি কি উত্তরপ্রদেশে কোনও রদবদলের কথা ভাবছে? রাধামোহন সিং রুটিনমাফিক বলেন, এটি নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ৷ আর এর পরই জিতিন প্রসাদ দলে যোগ দেন৷

উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ ভোট জোগাড় করতে প্রসাদকে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি৷ এমন হলে নিশ্চিতভাবেই যোগী বা যোগী-ঘনিষ্ঠ মহলের ক্ষমতা হ্রাস করা হবে৷ মনে করা হচ্ছে, এমন আশঙ্কাতেই যোগীর এই দিল্লি সফর।

আরও পড়ুন:এবার সরকারি প্রকল্পে ‘খেলা হবে’, জেনে নিন কী কর্মসূচি