জল্পনা ছিল, তবে অত্যন্ত গোপনীয়তার ঢাকা ছিল মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার প্রক্রিয়া। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। একের পর এক ব্রেকিং- তৃণমূলে ফিরছেন মুকুল, সঙ্গে পুত্র শুভ্রাংশু- জল্পনায় ছয়লাপ চারদিক। বেলা দুটোর কিছু পরে সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মুকুল রায় (Mukul Ray) জানান, “তৃণমূল ভবনে যাচ্ছি”। কালীঘাটের বাড়ি থেকে সেই সময়ই তৃণমূল ভবনে দিকে রওনা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।
তৃণমূল ভবনে প্রথমে ঢোকেন মমতা। তারপর মুকুল রায়। এবং তার কিছুক্ষণ পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের সদর কার্যালয়ে ঢুকেই একপ্রকার আত্মসমর্পণ করে দেন সপুত্র মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে ঢুকে বলেন, “ভুল করেছি”।
বিজেপির সঙ্গে যে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে সে কথা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগেই। জল্পনা ছিল হয়তো সেই সময় পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরবেন মুকুল। কিন্তু সেটা হয়নি। আর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (Bjp) ধরাশায়ী হওয়ার পরে দলের সঙ্গে যথেষ্ট দূরত্ব তৈরি হয় মুকুল রায়ের। শুধু তাই নয়, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু বারবারই পরোক্ষে হারের জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তোলে। এর মাঝেই মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রী কৃষ্ণা রায়কে দেখতে হাসপাতালে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সৌজন্যে, আন্তরিকতায় মুগ্ধ শুভ্রাংশু। প্রকাশ্যে অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন তৃণমূলের (Tmc) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। আরও স্পষ্ট হয় বিজেপির সঙ্গে রায় পরিবারের দূরত্ব। এরপরেই শুক্রবার তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ফের ঘাসফুলে ফিরছেন মুকুল-শুভ্রাংশু।
আরও পড়ুন:ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ওড়িশায়, জারি সতর্কতা
তৃণমূল সূত্রের খবর, তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন মুকুল রায়। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে।
বাবা বিধায়ক পদ ছাড়লে কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থী হবেন পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Shubranshu Ray)। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মুকুল রায়কে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।













































































































































