প্রবল গরমে স্বস্তি দিতে আজ ফের বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। আর এই নিম্নচাপের হাত ধরেই আজ থেকে টানা ৪ দিন উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস। সেইসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আজ থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। এদিন নামখানা এলাকায় টোটোয় চড়ে মাইকে প্রচার করেন বিডিও।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আগামী ২থেকে ৩ দিনের মধ্যে প্রবেশ করবে মৌসুমি বায়ু। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে রাজ্যের সব জায়গায় বর্ষা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর জেরে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওড়া বইতে পারে। বৃষিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উওত্তরবঙ্গেও। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টি হবে। ১৩ তারিখে দুই দিনাজপুর এবং মালদায় ভারী বৃষ্টি হবে।
অন্যদিকে আসছে অমাবস্যার কটাল। তার সঙ্গে নিম্নচাপের সতর্কতা। দুইয়ে মিলে সমুদ্রের জল ফুলে ফেঁপে উঠে নয়া বিপত্তি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে মানুষকে সাবধান করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপের জেরে ঝড় বৃষ্টি এবং ভরা কোটালের জেরে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। ফলে সতর্ক করা হচ্ছে সবাইকে। ইয়াসের পরে এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি পূর্ব মেদিনীপুর, গোসাবা, সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও জলমগ্ন অনেক গ্রাম। ফলে এই ভরা কোটালকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইয়াসের জের এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ত্রাণ শিবিরেই রয়েছেন অনেক মানুষ। তারপর এই ভরা কোটাল যেন নতুন বিপদ এনে দিয়েছে তাঁদের সামনে। ফলে এই পরিস্থিতিতে মানুষকে রক্ষা করা প্রশাসনের কাছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.