বিষয় ছিল ‘অ্যাকটিং ফর ক্যামেরা প্রোগ্রাম’। সেই বিষয়েই ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে স্নাতকে প্রথম হয়েছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী। লকডাউনের মানসিক চাপ থেকে শুরু করে শারীরীক অসুস্থতা, সবকিছুকে হার মানিয়ে নিজের বিষয়ে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। স্বভাবতই খুশি অভিনেত্রী। জানালেন, ‘এবার বলতেই পারি, আমি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে স্নাতক।’
নিজের শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি, মানসিকভাবে সবটাই সামলেছেন। উল্টে কোভিড আবহে সকলকে ভালো রাখার অঙ্গীকার নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোভিড পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ যাতে মনের কথা বলে হাল্কা হতে পারে সেজন্য চালু করেছেন হেল্পলাইন। এছাড়াও বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন মানুষের পাশে থাকার। তবে আজকের দিনটা একটু অন্যরকম। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট জুড়ে শুধুই লিখলেন নিজের খুশির কথা। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তিনি। ক্লাস চলার মধ্যেই অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকেও ক্লাস চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। ঋতাভরী লিখছেন, ‘শারিরীক কষ্ট নিয়েও আমি আমার পরের ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করতাম। আজ পুরস্কার পেয়ে মনে হচ্ছে পড়াশোনার ওপর আমার সেই ভালোবাসাটাই জিতেছে।’
স্বভাবতই মেয়ের এই সাফল্যে খুশি মা শতরূপা সান্যালও। অভিনেত্রীর মা পরিচালক শতরূপা সান্যাল (Satarupa Sanyal) মেয়ের সাফল্যের কথা শেয়ার করে লিখলেন, “আজ ঋতাভরী UCLA( University of California ) থেকে গ্রাজুয়েট হল। দুটো সার্জারি, লকডাউনের মানসিক চাপ, সব কিছু কে মোকাবিলা করেই একটানা ক্লাস করত কাক ভোর থেকে! পুরো অনুষ্ঠানটাই ছিল অনলাইন। আমি উপস্থিত থেকে দেখলাম!! মেয়ে এই বছরের সেরার পুরস্কার জিতল, তারও গৌরবের সাক্ষী রইলাম!”
নিজের বিষয় ‘অ্যাকটিং ফর ক্যামেরা প্রোগ্রাম’-এ প্রথম হয়েছেন ঋতাভরী। সুসংবাদ তাঁর অনুগামীদের জানিয়ে বলেছেন, ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে হলিউডে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমার এই অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। আমি চাই, আমার প্রোজেক্ট কালার্স অফ সাইলেন্স (Colours of Silence) হলিউড প্রোজেক্ট হিসাবে থাকুক। এই সুযোগটা হাতছাড়া করব না।’































































































































