সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে সবচেয়ে বড় এনকাউন্টার। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে পাকিস্তান ও জঙ্গিযোগ থাকা পাঞ্জাবের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর নিকেশ আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সাপুরজি এনক্লেভে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয় দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও জশপ্রীত খারার। অতিষ্ট হয়ে যাওয়া পাঞ্জাব পুলিশ জয়পালের মাথার দাম ১০ লক্ষ এবং যশপ্রীতের ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল।
কলকাতা পুলিশ তাদের অপারেশনে একশো শতাংশ সফল। একইসঙ্গে বিধাননগর পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের গতিতে। আর সেখানেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা আঁতকে ওঠার মতো।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভুয়ো নথি তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছিল পাঞ্জাবের দুই মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। তাদের ফ্ল্যাট থেজে উদ্ধার হয়েছে একশোটির বেশি ব্ল্যাঙ্ক মাইক্রো চিপ। সূত্রের খবর, গাড়ির লাইসেন্স থেকে শুরু করে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, সব কিছুতেই অবৈধ চিপ ব্যবহার করা হয়। একইসঙ্গে তল্লাশিতে পাওয়া গিয়ে নগদ টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র, প্রচুর ক্যারি ব্যাগ, আধার-প্যান ডকুমেন্টস, ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স।
তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর এভিডেন্স হিসেবে হাতের তালুতে রেখে রেখে দেওয়া এমন ছোট সাইজের পিস্তল পাওয়া গিয়েছে ফ্ল্যাট থেকে। যেগুলি সাধারণ পাকিস্তানে পাওয়া যায়। আর এটাই সবচেয়ে চিন্তায় রেখেছে তদন্তকারীদের। বড়সড় নাশকতার ছকে তাহলে কি আরও পাক মদদপুষ্ট দুষ্কৃতী লুকিয়ে আছে শহরের বুকে?
আরও পড়ুন- হাত বাড়ালেই বন্ধু! অক্সিজেন-ওষুধ-ভ্যাকসিন নিয়ে গরিবের দরজায় কো-হেল্প
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 





























































































































