চোখের জল মুছিয়ে স্বজনহারাদের সাহায্যের আশ্বাস অভিষেকের

0
1

সোমবার হুগলিতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় 11 জনের। স্বজনহারা পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকেশ্বর হাইস্কুল মাঠে নেমে প্রথমে অভিষেক যান হুগলির (Hoogli) পোলবায় বজ্রাঘাতে মৃত কিরণ রায়ের বাড়িতে। দুপুরে দেড়টা নাগাদ পৌঁছন তিনি।অভিষেক দেখে কিরণের দুটি ছোট মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে অভিষেক বলেন, “কোনও চিন্তা করবে না। সরকার পাশে আছে”। এই সময় কিরণ রায়ের স্বামী আর্জি জানান সন্তান মানুষ করার জন্য তাঁর একটি চাকরির প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একই সঙ্গে শিশু দুটির লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব তৃণমূলের (Tmc) পক্ষ থেকে নেওয়া হবে বলে জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন জেলার প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত এবং অসীমা পাত্র।

হিরণ রায়ের বাড়ি থেকে তারা জান হারুন রশিদের বাড়ি। সেখানেও শোকোস্তব্ধ পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সাহায্যের আশ্বাস দেন অভিষেক। তারকেশ্বর এবং খানাকুলে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন তৃণমূল সাংসদ।

আরও পড়ুন:হুগলি নদীর উপর টর্নেডো, আতঙ্ক সাগরদ্বীপে বাসিন্দাদের মধ্যে

নেতা হিসেবে নয়, একেবারে ঘরের ছেলে হিসেবে বাড়ির ভেতরে ঢুকে উঠোনে বসে কথা বলছেন অভিষেক। সদ্য মা হারানো দুটি শিশুর মাথায় হাত রাখেন তিনি। রাজনৈতিক নেতা নন, একেবারে জননেতা হিসেবে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। শুকনো সমবেদনা নয়, ঘরে ছেলের মতোই চোখের জল মুছে দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার, মুর্শিদাবাদেও একইভাবে বজ্রাহতদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advt