কংগ্রেস আত্মসমর্পণ করলেও ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে মাঠ ছাড়তে নারাজ বামেরা

0
1

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ভবানীপুর আসন(Bhawanipur seat) থেকে কংগ্রেস যে লড়াইয়ে নামছে না সে কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী(Adhir Chowdhury)। তবে জোট সঙ্গীর সঙ্গে এ ব্যাপারে মোটেই সহমত পোষণ করছে না বাম নেতৃত্ব। বরং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াকু প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন সুজন- সেলিমরা। এ প্রসঙ্গে বামেদের(left) স্পষ্ট বক্তব্য, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার অর্থ তৃণমূলের ১০ বছরের কাজকর্মকে বৈধতা দেওয়া। এতদিন ধরে যার সমালোচনা করে আসা হয়েছে। এদিকে বামেদের একটি অংশ চায় না মমতার বিরুদ্ধে ফের প্রার্থী দিয়ে নিশ্চিত হারের লজ্জায় পড়ুক বাম শিবির।

যদিও তৃণমূলের তরফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ভবানীপুর কেন্দ্রের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উপনির্বাচনে লড়াই করবেন তা কার্যত স্পষ্ট। এরই মাঝে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুরের আসন ছেড়ে দেওয়ায় এই আসন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তা বুঝতে অতি বড় রাজনীতিবিদ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে বাম কংগ্রেস জোট আদৌ দাঁড়াবে কিনা সেটা নিয়ে একটা গুঞ্জন উঠেছিল। বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তারা এবার মমতার বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বামেদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই লড়াইয়ের মাঠ ছাড়ছে না তারা। বাম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে কোনও এক তরুণ প্রজন্মের নেতাকে দাঁড় করানো হবে।

ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়ার বামেদের এই সিদ্ধান্তকে মোটেই মেনে নিতে রাজি নন দলের বেশিরভাগ নেতৃত্ব। আশঙ্কা করা হচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের শূন্য হওয়ার পর এবার উপনির্বাচনেও মমতার বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়ার অর্থ জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া। আরো স্পষ্টভাবে বললে আত্মহত্যার শামিল। যদিও সুজন- সেলিমের পাশাপাশি পক্ষ অবশ্য চাইছে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে। এ প্রসঙ্গে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বামপন্থীরা নির্বাচনকে একটি লড়াই হিসেবে দেখেন। সেখানে প্রার্থী না দেওয়ার মানে লড়াইয়ের ময়দানে থেকে সরে যাওয়া। তাহলে ভুল বার্তা যায় বাম সমর্থকদের কাছে।

আরও পড়ুন:নিউটাউনে নিহত দুষ্কৃতী ভাল্লারের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা, মাথার দাম ছিল ১০লক্ষ

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বাংলায় শোচনীয় হারের পর পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সর্বসম্মতিতে গৃহীত তত্ত্ব ছিল অতিরিক্ত তৃণমূল বিরোধিতা করতে গিয়ে এই বিজেপি বিরোধী জোট তৃণমূলে চলে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের এই মনোভাবের বিষয়টি সঠিকভাবে অধ্যায়ন করতে পারেনি দল। বিজেপির বিকল্প হিসেবে নিজেদের আস্থাশীল করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে বামেরা। একেবারে লিখিত বিবৃতিতে এই বক্তব্য স্বীকার করে নেওয়ার পর এবার মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত আদৌ কতখানি যুক্তিযুক্ত স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।

Advt