সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণের সময় দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়া কথা জানান। তবে এই নীতিতে কত টাকা খরচ করছে কেন্দ্র? মোদি সরকারের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বিরোধীদের তরফে। কেন রাজ্যগুলিকে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে হবে? এই প্রশ্নও উঠেছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে একাধিক বার চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু তেমন কোনও উত্তর মেলেনি। অবশেষে প্রবল চাপের মুখে পড়ে গতকাল বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই নীতিতে কত টাকা খরচ করছে মোদি সরকার?
মঙ্গলবার সকালেই মিলেছে এই প্রশ্নের উত্তর। অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের এই নয়া ভ্যাকসিন নীতিতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
এই টাকার জোগান রয়েছে?
অর্থমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগারে আপাতত পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। তা দিয়েই প্রত্যেক দেশবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মন্ত্রকের মতে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুদানের দরকার হতে পারে। সূত্রের খবর, গণটিকাকরণের জন্য আর বিদেশ থেকে আসা ভ্যকসিন সাহায্যের প্রতি ভরসা রাখছে না কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা প্রক্রিয়া ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট ও নতুন বায়োলজিক্যাল-ই এই তিন সংস্থার উপর ভরসা রেখেই এগোবে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-দিলীপ ঘোষকে না জানিয়েই তিনি দিল্লিতে, স্বীকার করলেন শুভেন্দু
সূত্রের খবর, ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিনে ভারতে আইনি রক্ষাকবচর দাবির জন্য এখনই সেদিকে যাচ্ছে না কেন্দ্র। এদিকে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি সংখ্যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার কারণে দেশীয় ভ্যাকসিনের উপরেই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে সোমবার একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে যাতে দেশের গরিব মানুষের অন্নের অভাব না হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় দেশের ৮০ কোটি মানুষকে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হলো প্রধানমন্ত্রীর তরফে।










































































































































