গত রবিবারই উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিপাত। এরই মাঝে গোটা রাজ্যজুড়ে আগামী ৪ দিন ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আবহাওয়া দফতর। রাজ্যজুড়ে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেইসঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।
গত দু’দিন ধরেই হাঁসফাঁস গরমে অস্বস্তি বাড়ছিল দক্ষিণ বঙ্গবাসীর। তবে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টির জেরে কিছুটা হলেও রেহাই পাচ্ছেন তারা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে প্রবল বৃষ্টি ও সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত রবিবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়েছে। তবে ১১ জুন দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে বর্ষা। গত দু’দিন ধরে চলা প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
অন্যদিকে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। ইয়াসের দুর্যোগে বহু বাঁধ ভেঙে পড়েছে। ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারপর ফের নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টিপাতে ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি আরও বিঘ্ন হতে পারে বলে আগে ভাগেই সতর্ক করা হয়েছে।বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে জোরকদমে। ত্রাণ শিবিরেই রয়েছেন বহু মানুষ। দুর্যোগের আশঙ্কায় জেলাশাসকদের নবান্ন-র তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।