এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ১১ জুলাই পরীক্ষা হবে কিনা তা অনিশ্চিত। বোর্ড সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে ১১ জুলাই পরীক্ষা হচ্ছে কিনা। উল্লেখ্য, চলতি বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়ার কথা ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর।
করোনাকালে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি রাজ্যে। বন্ধ ট্রেন। জুলাই-তে পরিস্থিতি কেমন থাকবে তা জানা নেই। অন্যদিকে পরীক্ষা দিতে শুধু এরাজ্যে থেকে নয়, ভিন রাজ্য থেকেও আসবেন পরীক্ষার্থীরা। তাই কীভাবে সবটা সামালানো যাবে তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ভাবনা বোর্ডের। যদি ১১ জুলাই এই পরীক্ষা না নেওয়া যায় সেক্ষেত্রে বাতিল করা সম্ভব না। পিছিয়ে দিতে হবে পরীক্ষা। সর্বভারতীয় স্তরে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি সহ যে নিয়ামক সংস্থা আছে তারা পরীক্ষা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেদিকেও নজর দেওয়া হতে পারে বলে বোর্ড সূত্রে খবর।
এবছর হচ্ছে না মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারই মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবক, পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের কী মতামত তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। জনমতের রায় জানতে চাওয়া হয়েছিল মেল আইডি মারফত। সোমবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত মতামত দেওয়ার সময় ছিল। সূত্রের খবর, জনমতের রায় পরীক্ষার বিরুদ্ধেই। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার পক্ষে নয় ৭৯ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার পক্ষে নয় ৮৬ শতাংশ। তবে কীভাবে মূল্যায়ন হবে তা ৭ দিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন-বাতিল মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা: সিদ্ধান্ত নিয়ে কী জানালেন শিক্ষাবিদরা
অতিমারী পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক হবে কিনা তা নিয়ে আগেই গঠিত হয়েছিল ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারা রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, সম্ভবত বাতিল হচ্ছে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।