সরকারি গোডাউন থেকে ত্রাণের ত্রিপল লুঠের অভিযোগে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর নামে FIR

0
4

ফের চুরি ও লুঠের অভিযোগ উঠল কাঁথির অধিকারী পরিবারের দিকে। এবার লক্ষাধিক টাকার ত্রাণের ত্রিপল লুঠের মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু নামে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে শনিবার দুপুর একটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কয়েকজনকে ত্রাণের ত্রিপল বার করতে দেখেন পুরসভায় কাজ করতে আসা স্থানীয় এক যুবক। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কাঁথি পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতিকে খবর দেন। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য-সহ পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি।

শুভেন্দু অধিকারীর মদতেই এই ত্রিপল লুঠের ঘটনা বলে অভিযোগ করেন সিদ্ধার্থ মাইতি। পুর প্রশাসক মণ্ডলীর অপর দুই সদস্য হাবিবুর রহমান ও রত্নদীপ মান্না এবং কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি, কাঁথি শহর যুব তৃণমূল নেতা সুরজিৎ নায়ক গোডাউনের দায়িত্বে থাকা পুরসভার কর্মচারী হিমাংশু মান্নার কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চান।

হিমাংশু মান্না জানান, শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত ত্রিপল পুরসভার গোডাউনে পড়ে ছিল। সেই ত্রিপল নেওয়ার জন্য লোক পাঠিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু ওই ত্রিপলগুলিতে সরকারি লোগো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাহলে সেগুলি শুভেন্দুর ব্যক্তিগত হয় কীভাবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

এরপর কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোয়। পুরসভার কর্মী হিমাংশু মান্না এখনও অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং সে একটা সময় শুভেন্দু অধিকারীর বিশেষ সহযোগী ছিলেন। এখনও শুভেন্দুর কথায় ওঠে-বসে হিমাংশু। তাছাড়া পুরসভার প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া এইভাবে গোডাউনে থাকা ত্রাণের ত্রিপল কীভাবে বের হয়? খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা। এরপর শুভেন্দু ও তাঁর ছোটভাই সৌমেন্দুর নামে কাঁথি থানায় ত্রিপল লুঠের অভিযোগে FIR দায়ের করেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা।

আরও পড়ুন- সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণার দায়ে ধৃত দুই শুভেন্দু- ঘনিষ্ঠ

Advt