সৌজন্য নয়, আন্তরিকতা। নিজের আত্মীয়াকে দেখতে আসার বার্তা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসপাতালে যাওয়ার মধ্যে। তাঁর মাকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দেখতে যাওয়া প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। শুধু তাই নয়, শুভ্রাংশু বলেন এই সৌজন্য ভারতের রাজনীতিতে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে।
বুধবার, সন্ধেয় মুকুল রায়ের (Mukul Roy) স্ত্রী তথা শুভ্রাংশু রায়ের মা কৃষ্ণা রায়কে দেখতে হাসপাতালে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার তাজপুরে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, শুধু সৌজন্য নয়, মুকুল রায়ের স্ত্রী তাঁর মায়ের মতো। তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক। সেই কারণেই দেখতে গিয়েছিলেন। এখানে রাজনীতি করা ঠিক নয়।
এরপরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভ্রাংশু রায় বলেন, “অভিষেক ও তাঁর বাড়ির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অভিষেক আমার মাকে সম্মান দেয়। যখন দেখা হয় মায়ের খবর নেয়। এই সৌজন্য ভারতের রাজনীতিতে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে”।
আরও পড়ুন:নিজের হাতে আলিপুরে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
একই সঙ্গে মুকুল রায়কে স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির খবর জানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ফোন প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিজেপির কর্মকর্তা। তাঁর বাবাও সেই দলেরই কর্মী। মোদি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে বিরোধী দলের হয়ে অভিষেক যা করেছেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বীজপুরে হারের পর বিজেপির উপর যে ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছেন, তা ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট করেছেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু। লেখেন, “কেন হার? তৃণমূলের সমালোচনা করার আগে দলের নিজের আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন”। এদিন ফের নিজের মন্তব্য স্থির থেকে শুভ্রাংশু বলেন, পরীক্ষায় খারাপ ফল হলে আগে দেখা উচিত নিজের কী ভুল হয়েছে? আর ফার্স্ট যে হয়েছে সে কী করে ফার্স্ট হয়েছে? তা না করলে কখনোই শুধরানো যাবে না। অর্থাৎ আত্মসমালোচনা করার কথাই ফের বললেন শুভ্রাংশু। এর পাশাপাশি, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাসপাতালে যাওয়া বা প্রধানমন্ত্রী ফোন কোনও কিছুকেই তেমন গুরুত্ব না দিয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতায় মুকুল-পুত্রের আপ্লুত হওয়া ঘটনা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ফের উসকে দিল।