ফোলা চোখ-কালশিটে, প্রকাশ্যে ডমিনিকার গারদে বিধ্বস্ত মেহুল চোকসির প্রথম ছবি

0
1

গারদের লোহার শিক ধরে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন তিনি । বাঁদিকের চোখ লাল হয়ে ফুলে রয়েছে ৷ হাতে, কবজিতে কালশিটের ছাপ স্পষ্ট ৷ ডমিনিকায় ধরা পড়ার পরের দিন তাঁর এই ছবি প্রকাশ করেছে অ্যান্টিগার একটি সংবাদসংস্থা ৷

কমনওয়েলথ অফ ডমিনিকা-সহ পূর্ব ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সর্বোচ্চ আদালত ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান সুপ্রিম কোর্ট । আপাতত ডমিনিকা থেকে তাঁকে অন্য কোথাও পাঠানোর উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত ৷ ২ জুন পর্যন্ত তাঁকে অন্য কোনও দেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত।

এদিকে, অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গাস্টন ব্রাউন অভিযোগ করেছেন, মেহুল চোক্সি শাসকদলের বিরোধী ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ পার্টিকে আর্থিক সাহায্য করেছেন ৷ কিন্তু গাস্টিন সরকার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷
শুক্রবার পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সির ডমিনিকায় প্রবেশকে “বেআইনি” বলে ঘোষণা করে সেখানকার আদালত ৷ পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত এই দ্বীপ থেকে চোক্সিকে বের করে দেওয়ার আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডমিনিকার আদালত ৷

Pp

ওই সংবাদসংস্থা তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে পলাতক ব্যবসায়ীর দু’টি ছবি পোস্ট করে লিখেছে, “গারদের পিছনে মেহুল চোক্সির প্রথম ছবি ।”মেহুলের ভারতীয় আইনজীবীর দাবিকে সমর্থন করে এবার ডমিনিকায় তাঁর আরেক আইনজীবী ওয়েন মার্শও জানান, ২৩ মে তাঁকে অ্যান্টিগা থেকে অপহরণ করে তুলে এনে মারধর করা হয় ৷ তিনি বলেন, “মেহুল চোক্সি আমায় বলেছেন তাঁকে অ্যান্টিগার জলি হারবার থেকে অপহরণ করে ৬০-৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ভেসেলে তুলে ডমিনিকায় পাঠানো হয় ৷ ওই ভেসেলে অ্যান্টিগার পুলিশ সমেত আরও অনেকে ছিলেন, হয়তো তাঁরা ভারতীয় ৷”