রাজ্য-কেন্দ্র কার্যত সম্মুখ সমর। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকছেন কলকাতায়। আজ, রবিবার, তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন। আগামিকাল, ১জুন থেকে তাঁর তিন মাসের এক্সটেনশন শুরু। মুখ্যমন্ত্রী শনিবারই কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন, মুখ্যসচিবের বদলির নির্দেশ ফিরিয়ে নিতে। আবার তিনি এটাও জানান, ইতিমধ্যে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছে। তার অর্থ কেন্দ্র কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই ফেলেছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যকেও কোর্টে বক্তব্য জানাতে হবে।
মুখ্যসচিবের বদলি নিয়ে বিগত ৪৮ ঘন্টা কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ তুঙ্গে৷ আমলামহলও কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, মুখ্যসচিবের এক্সটেনশন চাওয়া হয়েছিল ইয়াস ও কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই। সেই পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এমনকী রাজ্যকে জানানো পর্যন্ত হয়নি। ইয়াস বিধ্বস্ত অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এলাকা পরিদর্শনে থাকাকালীন এই চিঠি মুখ্যসচিবকে ধরানো হয়েছে, যা নীতিবিরুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক।
আমলাদের বক্তব্য, আইএএস-আইপিএসদের বদলি বা পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে সেই ক্যাডারকে প্রথমে জানাতে হয়। ক্যাডার সম্মতি দিলে পোস্টিং পদ্ধতি এগোয়। তবে রাজ্য-কেন্দ্রের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে সঙ্ঘাত হলে কেন্দ্রের নির্দেশ বহাল থাকার আইন রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আইন মেনে মুখ্যসচিবকে রাজ্য সরকার ‘রিলিজ’ না করলে তিনি বদলির নির্দেশও কার্যকর করতে পারবেন না। ফলে মুখ্যসচিবকে নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ যে ক্রমশ কোর্টের দিকেই যাচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
