নির্বাচনে ভরাডুবির পরেও বাংলাকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির রাজনীতি অব্যাহত। ইয়াস বিধ্বস্ত বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক দুপুর আড়াইটেতে, স্থান কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দর।
প্রোটোকল মেনে রাজ্যপাল যেতেই পারেন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। কিন্তু শুভেন্দুকে ওই বৈঠকে ডেকে প্রধানমন্ত্রী আসলে সূক্ষ্ণ রাজনীতির রাস্তা খুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সম্যক জানেন শুভেন্দুর উপস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অস্বস্তিজনক। এক সময়ে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, যাঁর চোখ দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরকে দেখতেন, তিনি এখন বিরোধী দলনেতা। ফলে তাঁকে সামনে রেখে মোদির ত্রাণ রাজনীতি মুখ্যমন্ত্রীকে হজম করতে হবে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় পরে মমতা-শুভেন্দু মুখোমুখি হবেন। আর এই অস্বস্তির কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু যদি বৈঠকে থাকেন, তাহলে সেচমন্ত্রী, বনমন্ত্রীরা কেন আমন্ত্রিত হবেন না? ওড়িশায় নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে কোথায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা? প্রধানমন্ত্রীর এই বন্যা-রাজনীতি ক্রমশ প্রকটভাবে চোখে পড়ছে।
আরও পড়ুন- স্বস্তি! রাজ্যে একধাক্কায় অনেকটাই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, কমল মৃত্যুও