ইয়াস(Yass) পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার বাংলা ও ওড়িশা সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী(Prime minister) নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। দুই রাজ্যে রিভিউ মিটিং করে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট দেখার পর ইয়াস প্রভাবিত রাজ্যগুলির জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইয়াস প্রভাবিত রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ আপৎকালীন মোট ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। এরমধ্যে ওড়িশা পাবে ৫০০ কোটি টাকা বাকি ৫০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বুঝে ভাগ করে দেওয়া হবে বাংলা ও ঝাড়খন্ডকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে যেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলো। তাও আবার এই টাকা থেকে ঝাড়খন্ডকে টাকা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে জানা গিয়েছে, প্রভাবিত এলাকাগুলিকে যতদূর সম্ভব সাহায্য করার সমস্ত রকম চেষ্টা করা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার থেকে একটি টিম গঠন করা হবে যারা প্রভাবিত এলাকায় ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করবেন। পাশাপাশি ঝড় ও বন্যার জেরে যে সমস্ত সড়ক, ব্রিজ ভেঙে পড়েছে সেগুলি পূনর্গঠনের জন্য আর্থিক সহায়তা করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় এর জেরে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:‘করোনাকালে ক্ষতিপূরণের টাকা চাই না’, ইয়াস পরবর্তী রিভিউ বৈঠকে মোদিকে বললেন নবীন
উল্লেখ্য, শুক্রবার ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘প্রাথমিক রিপোর্টে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে। সে রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে আমি দিয়ে দিয়েছি।’ তবে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর রাজ্যের জন্য এত কম টাকা বরাদ্দ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।














































































































































