দেড় মিনিট কথা, ঝাড়খণ্ড-বাংলার এক ক্ষতি? মোদির ঘোষণায় হাসছে রাজনৈতিকমহল

0
1

সাগর থেকে দিঘা যাওয়ার পথে কলাইকুণ্ডাতে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়া। গুনে গুনে ঠিক মিনিট দেড়েক দুয়েক। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সামান্য কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী উঠে দাঁড়ালেন। তার মাঝে হাতে ধরিয়ে দিলেন ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা। ফলে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বাকি বৈঠকটা কার্যত নিয়মতান্ত্রিকতায় পর্যবসিত হলো। যে বৈঠকে ছিলেন রাজ্যপাল (যাঁকে বিরোধীরা রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি বলেন), বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সহ বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যে বিরোধীশূন্য বিধানসভায় বিল পাশ হয় যেভাবে, ঠিক সেভাবেই ত্রাণের অর্থ বন্টন করলেন মোদি। ওড়িশার জন্য ৫০০ কোটি, আর ঝাড়খণ্ডের জন্য ২৫০ কোটি, পশ্চিমবঙ্গের জন্যেও তাই! পুরো প্রক্রিয়াটিকে হাস্যাস্পদ করে তুললেন খোদ নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং, দেশের প্রধানমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী দিঘা আর সুন্দরবনের জন্য আলাদা ১০হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। সব মিলিয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ। কিন্তু মোদি প্রায় একই টাকা দিয়েছেন, শুধু টাকার অঙ্ক থেকে দুটি শূন্য বাদ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে বাংলার ক্ষয়-ক্ষতি সমান করে দেখেছেন। যা কার্যতই সকলকে অবাক করেছে, রাজনৈতিক মহলকে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করেছে, কেন্দ্রের সরকার রাজনীতির চোখে দেখেছে ইয়াসের ক্ষতিপূরণ। মুখ্যমন্ত্রীও জানতেন, মোদির বৈঠকের নিট ফল বা ভবিষ্যত কী হতে চলেছে। আমফান যে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। তাই তিনি দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকে বলেন, ক্ষতিপূরণের তালিকা তো দিয়েছি। পাব না কিছুই।

কিন্তু বাংলা দখল না করতে পেরে মোদির নেতৃত্বে বিজেপির এই বিমাতৃসুলভ আচরণ আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত। ধনকড় যথার্থই ট্যুইট করেছেন। বৈঠকে না থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দোষারোপ করেছেন।রাজ্যের রাজনৈতিকমহল বলছে আসলে উনি কেন্দ্রের কথায় চলেন তাই রাজ্যের বিরুদ্ধে বলতে হচ্ছে। যা বলেছেন সেটা বৃহস্পতিবারের পর নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রেই বড় বেশি করে প্রযোজ্য।

Pp