ইয়াসের (YAAS) বিপর্যয় কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন (Sundarban) উপকূলবর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে পূর্ণিমা ও ভরা কোটালে উপকূলীয় নদীগুলি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। এই সমস্ত অঞ্চলে ঝড়ের দাপটের সঙ্গে নদীর জলোচ্ছ্বাস এবং তার ফলে বাঁধের ভাঙন বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে জলে ভাসিয়েছে। গোসবা (Gosaba) ব্লকের পাখিরালয়, ঝড়খালীর বালিখাল, আশুর ভেড়ি, বাসন্তীর ভাঙাখাল অঞ্চলের বেশকিছু গ্রাম জলের তলায়। তবে সমস্ত দুর্যোগ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সুন্দরবন।
এমনটা যে ঘটতে পারে তা আন্দাজ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। ইয়াসের আগের দিনই স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলির উদ্যোগে প্রান্তিক এলাকার মানুষজন ও গবাদি পশুদের নিরাপদ দূরত্বে মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার বা বহুমুখী ঘূর্ণাবর্ত ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন-জলে ভাসতে পারে তিলোত্তমা,সতর্ক করল আবহাওয়া দফতর
আয়লা বা আমফানের যে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল সুন্দরবনের, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রশাসন অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত ও সতর্ক ছিল। নদী ভাঙন আটকাতে তৈরি ছিলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার ইয়াসের দিন সকাল থেকেই বাঁধ ঘিরে রেখেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মধ্যে বস্তা বস্তা মাটি, ত্রিপল ইত্যাদি দিয়ে কোনওরকমে ভাঙন আটকানো গিয়েছে কিছু জায়গায়। তবে তার মধ্যেও শতাধিক নদী বাঁধ ভাঙনের ফলে ভেসেছে সুন্দরবন উপকূলের বেশকিছু গ্রাম। সেখানে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধায়ক, মন্ত্রীরা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
ত্রাণ শিবিরগুলিতে শুধু শুকনো খাবার, জলের পাউচ নয়, করোনা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় মাস্ক, সানিটাইজার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে আয়লা বা আমফানের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এবার হয়নি সুন্দরবনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক কম। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক সহায়তায় দ্রুত বিপর্যয় কাটিয়ে এবার অনেক আগেই ছন্দে ফিরলো সুন্দরবন।