অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ইয়াসের তাণ্ডবেও বড় ক্ষতি এড়াল ওড়িশা

0
1

আবহাওয়া দফতরের(weather office) পূর্বাভাস ছিল ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস(Yaas)। সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া হলেও নির্ধারিত গতিবেগের চেয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে ওড়িশার(Odisha) উপকূলবর্তী ধামরা গ্রামে আছড়ে পড়ে ঝড়টি। অতীতের ফণী থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বহু আগে থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছিল ওড়িশা। যার ফলে তুলনামূলক বড় ক্ষতি এড়াতে সক্ষম রাজ্যটি। যদিও ইয়াসের দাপটে ওড়িশায় নদী বাঁধ ভেঙে জলের নিচে বহুগ্রাম। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বহু। তবে আশার কথা এটাই যে অন্যান্য বারের তুলনায় ইয়াসের তাণ্ডবে প্রাণহানির ঘটনা মাত্র ২। বুধবার বিকেল থেকেই এই ঝড় শক্তি হারানোর ফলে নতুন করে ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা আর নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওড়িশা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে তাতে এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অতটাও আশঙ্কাজনক নয়। তবে ঝড়ের জেরে সমুদ্র উপকূলবর্তী বালাসোর, ভদ্রেশ্বেরের মত এলাকাগুলিতে বিপুল জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এই সমস্ত এলাকায় একটু বেশি। কেনওঝাড় আর বালাসোরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে বালাসোরের উপকূলবর্তী ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। একইভাবে ভদ্রকে বানভাসী গ্রামের সংখ্যা ১০।

 

আরও পড়ুন-ইয়াস কভারেজ ও বাংলা মিডিয়া, কুণাল ঘোষের কলম

তবে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। জল সরানোর জন্য রাস্তা কাটার কাজও চলছে। কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঝড়ে রাস্তায় উপরে পড়া গাছ কাটার কাজ চলছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা ও সচল রাখতে শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে একাধিক উদ্ধারকারী দল কাজ করে চলেছে। যেখানে পিডাব্লুডির পাশাপাশি রয়েছে কিউআরটি ও ডিআরএফ। ঝড় সামলালেও ওড়িশাতে অতিবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলস্বরূপ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে লাল সর্তকতা জারি রয়েছে।

Advt