নিউ ব্যারাকপুরের গেঞ্জির কারখানায় এখনো নেভেনি আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু

0
2

বুধবার রাত সাড়ে তিনটের সময় আগুন লাগে নিউ ব্যারাকপুরের ( New Barrackpore)গেঞ্জির কারখানায় (genji factory)। সকাল থেকেই দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন (fire brigade) ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। দমকলকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনো আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে আসেনি বলে জানা গিয়েছে (fire at factory)। ঘটনাস্থলে এসেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু(Sujit Basu) । তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আগুন নেভানোর কাজে তদারকি করছেন। রয়েছেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মাও। আগুন নেভাতে কাজে লাগানো হচ্ছে অত্যাধুনিক রোবটও। ওই দগ্ধ কারখানার ভিতরে চার শ্রমিকের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতেই নিউ ব্যারাকপুরের তালবান্দার ওই গেঞ্জির কারখানায় আগুন লাগে। একটি তিনতলা বাড়ির ভিতরে ওই কারখানাটি। আবার ওই বাড়িরই নিচে ওষুধের গুদাম ও রঙের কারখানা । তাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, গেঞ্জি কারখানায় বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। পাশাপাশি ওষুধের গুদামে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণ স্যানিটাইজার জার। তাছাড়া কারখানায় প্রচুর পেট্রোল মজুত ছিল বলেও খবর। তাই আগুন এত বিধ্বংসী চেহারা নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গিয়েছে, ভোররাত থেকে কারখানার ভিতর থেকে বিকট শব্দ এসেছে বেশ কয়েকবার। অনুমান মজুদ করে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারগুলি আগুনের তাপে একটার পর একটা ফেটেছে। আর এই কারণেই আগুন নেভাতে দমকল কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। গেঞ্জির কারখানায়, রং য়ের গুদাম এর ওষুধের গুদামে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু রাখা ছিল । তাই এই অগ্নিকাণ্ড এত বড় আকার নিয়েছে। এখনও বাড়িটির ভিতর ঢুকতে পারেননি দমকলকর্মীরা। বাইরে থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন তারা। কারখানার ভিতরে চার শ্রমিকের আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়ির ভিতর থেকে আগুনের হলকা বেরিয়ে আসছে। কুণ্ডলীকৃত কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারিদিক।

দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন “ভিতরে দমকল কর্মীরা ঢোকার চেষ্টা করছে। অত্যাধুনিক রোবট কাজ করছে। কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত হবে। চার জনের আটকে থাকার খবর রয়েছে।” তবে লকডাউনের মাঝে চার কর্মী কারখানায় কী করছিলেন, তাঁরা কী ওখানেই থাকতেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।