মোর্চা ছেড়ে উপনির্বাচনে আলাদা লড়ুক সিপিএম, জেলা নেতৃত্বের চাপে অস্বস্তিতে আলিমুদ্দিন

0
1

অনেক আশা করে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করা হলেও একুশের ভোটে কং-বাম ‘মুক্ত’ হয়েছে রাজ্য বিধানসভা৷

বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস আর ISF-কে সঙ্গী করে ‘সংযুক্ত মোর্চা’ গঠন করেছিলো আলিমুদ্দিন। কিন্তু সব চেষ্টাই জলে গিয়েছে৷ এই প্রথমবার লাল-শূণ্য হয়েছে বিধানসভা৷ ফলপ্রকাশের পর থেকেই সিপিএমের অন্দরে দলের নেতৃত্বের প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে যায়৷ প্রশ্ন ওঠে, এভাবে জাত খুইয়ে লাভ হলো কোথায় ?

আরও পড়ুন-শক্তি হারিয়ে সুপার সাইক্লোন ইয়াস এখন গভীর নিম্নচাপ, কলকাতাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

একই সঙ্গে জেলার নেতারা কড়া দাবি তুলেছেন, তথাকথিত মোর্চা বজায় রাখার আর প্রয়োজন নেই৷ দল বেরিয়ে আসুক মোর্চা থেকে৷ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো রিপোর্টেও এ কথা রয়েছে।
রাজ্য কমিটির বৈঠক হবে ২৯ মে। ওই বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম হতে পারে বলে দলের একাধিক নেতার আশঙ্কা৷ আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, জেলাগুলির রিপোর্ট নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক বসে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে উতপ্ত আলোচনা হয়৷ সদ্য গজিয়ে ওঠা আইএসএফ-এর সঙ্গ দহরম জেলার নেতারা একদমই ভালভাবে নেয়নি। পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বহাল রাখলেও, সিপিএমের একাধিক জেলা নেতার অভিমত, কংগ্রেসের একটা বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছিল। তাই এই ধরনের মোর্চা গঠন করে দলের মুখ কালিই লেগেছে বলেই মনে করছে জেলা নেতৃত্ব। নির্বাচনে এত কিছুর পর ফের সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে দলের কথা বোঝানো বেশ কষ্টকর বলেই মনে করছেন জেলার নেতারা৷ কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে চলেছে৷ এই ৬ কেন্দ্র হলো, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং ভবানীপুর। এই উপনির্বাচনগুলিতে বামফ্রন্টগতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবিও উঠেছে সিপিএমের অন্দরে৷ রাজ্য কমিটির বৈঠকেই এ বিষয়ে হেস্তনেস্ত হতে পারে।

জেলা কমিটির ‘চাপে’ আলিমুদ্দিন মোর্চা ছেড়ে বেরিয়ে এলে, দলের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ‘জোটপন্থী’ শীর্ষ নেতারা৷ তাহলে কি কংগ্রেস, আইএসএফ’কে ছেড়ে ফের একলা চলার পথ ধরবে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট?‌ তাও ঠিক হতে পারে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকেই ৷

Advt