করোনার জের, কঠোর বিধিনিষেধ মেনে সাত সপ্তাহ পর চালু হল রেল পরিষেবা

0
1

খায়রুল আলম, ঢাকা: অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পরিষেবা। আজ, সোমবার থেকে ফের কোভিড প্রটোকল মেনে চালু করা হল রেল পরিষেবা। তবে ট্রেন চালু হলেও করোনা আতঙ্কে অধিকাংশ ট্রেনের আসনই ফাঁকা ছিল। আবার অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়েও গন্তব্যে ছুটেছে কয়েকটি ট্রেন।

আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশে ‘পারাবত এক্সপ্রেস’ এবং চট্টগ্রামের উদ্দেশে ‘মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসকে’ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। দুটি ট্রেনই ছিল বেশ ফাঁকা। স্বাভাবিক সময়ে সকালবেলা কমলাপুর থেকে অনেকগুলো ট্রেন ছেড়ে যেত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে সোমবার সকালে সেগুলোর অধিকাংশ আসনেই যাত্রী ছিল না। কারণ অধিকাংশ ট্রেনের সূচনা স্টেশন রাজধানীর বাইরে হওয়ায় সেগুলো আজ সকালে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসছে।

অন্যদিকে, সকালে টিকিট না পাওয়ায় কমলাপুর স্টেশনের বাইরে অনেক যাত্রীকেই স্টেশন চত্বরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ যাত্রীই চেষ্টা করেও অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। আর অনেকে শুধুমাত্র যে অনলাইনেই টিকিট দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। স্টেশনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

এদিন, কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে চলছে ট্রেন। আর সব টিকিট অনলাইনে। তাই স্টেশনে কোনো টিকিটের ব্যবস্থাই রাখা হয়নি।’ যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা থাকার কারণেই আমরা কাউন্টারে টিকিট দিতে পারছি না। এ কারণে অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন। তবে কাউন্টারে টিকিট দিলে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হতে পারে।’

রবিবার রেল ভবনে এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ‘সোমবার থেকে সারাদেশে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, ৯টি মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার রেল পরিষেবা শুরু হয়েছে। এসব ট্রেনের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হবে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’ অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে অনলাইনে টিকিটও বিক্রি শুরু হয়। ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন কোন কোন রুটে চলাচল করবে তাও ইতিমধ্যেই রেলওয়ে ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ সকালে প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চালানোর আগে সেগুলিকে স্যানিটাইজ করা হয়। এছাড়াও যাত্রীদের জন্য স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা এবং মাস্ক পরার বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

Advt