হিন্দুত্ববাদের নয়া দালাল সঙ্ঘপন্থী নাগেশ্বর ছাড়লেন না রামমোহন রায়কেও!

0
1

নাগেশ্বর রাওকে (nageshwar rao) মনে আছে? সিবিআই (cbi) এর অন্দরে মুষলপর্ব চলাকালীন পাকেচক্রে কিছুদিনের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসেছিলেন এই বিতর্কিত আইপিএস অফিসার। কর্মজীবনে বিতর্কিত এই ব্যক্তির সিবিআইয়ের সর্বোচ্চ পদে বসার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা ছিল তাঁর সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠতা। বিজেপির (bjp) শিকড় আরএসএসের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগসূত্রের কথা সেই সময়েই প্রকাশ্যে আসে। তা উপেক্ষা করেই স্বল্প সময়ের জন্য তাঁকে সিবিআই ডিরেক্টরের পোস্ট উপহার দেয় মোদি সরকার। অবসরগ্রহণের পর সেই নাগশ্বরই সব আড়াল ভেঙে এখন স্বমূর্তিতে। হিন্দু ধর্মের এই স্বঘোষিত ধ্বজাধারী যে কোনও ছুতোনাতায় টুইট করে হিন্দু ধর্মের অসম্মান খোঁজেন এবং ধর্মীয় উদারপন্থীদের যথেচ্ছ গালমন্দ করেন।

এহেন হিন্দুত্ববাদী নাগেশ্বর রাওয়ের কোপে এবার বাংলার নবজাগরণের প্রাণপুরুষ রাজা রামমোহন রায় (raja rammohan ray)। সতীদাহ প্রথার মত ভয়াবহ, জঘন্য, নারীবিদ্বেষী ও মানবতাবিরোধী সামাজিক প্রথা বিলোপের জন্য বাংলা তথা ভারতবাসীর কাছে শ্রদ্ধার, গর্বের রামমোহনকে ব্রিটিশের দালাল বলেছেন নাগেশ্বর। প্রকৃত অর্থে সমাজসংস্কারক বাঙালি যুগপুরুষ রামমোহন সঙ্ঘপ্রেমী নাগেশ্বরের চোখে আদ্যন্ত হিন্দুবিরোধী। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন সিবিআই কর্তার বিশ্লেষণ: রামমোহন রায় ছিলেন খ্রিস্টান মিশনারিদের দালাল। তাই তিনি হিন্দু ধর্মের ক্ষতি করতে সচেষ্ট ছিলেন।

প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সতীদাহ প্রথার মত জীবন্ত নারীকে পুড়িয়ে মারার প্রথাকেই হিন্দুধর্মের গর্বের স্মারক মনে করেন নাগেশ্বররা? এই ভয়ঙ্কর প্রথা রদ করেছিলেন বলেই কি বিজেপিপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের চোখে রামমোহন বিধর্মী হয়ে গেলেন? আশঙ্কার বিষয়, এই মানসিকতা যারা লালন করেন সেই গেরুয়া শিবির মাসখানেক আগেও বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল! বাংলার গরিমা, সমাজসংস্কারের মাহাত্ম্য বোঝার ক্ষমতাই নেই যাদের, সেই সঙ্ঘ কি বাংলার মনীষীদের অপমান করে আদৌ কোনওদিন বাংলার সাংস্কৃতিক আত্মাকে ছুঁতে পারবে?

আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণ দেশব্যাপী সমস্যা নাকি রাজ্য কেন্দ্রিক? কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হেমন্ত সোরেন

Advt