বন্দি শোভনকে নিয়ে বিতর্ক চরমে। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে মুক্তি না পাওয়ায় রাজ্য সরকার ও সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিকেলে তোপ দেগেছিলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৈশাখী পর্বকে ‘নাটক’ এবং পিজির উডবার্নে ‘মধুচক্র’ চলছে কিনা সেই অভিযোগ তুলতেই কাণ্ডজ্ঞানশূন্য হয়ে হাসপাতালের জানলা থেকে বেআইনিভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শোভন। কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেন। সন্ধ্যায় রিস্ক বন্ডে সই করেন শোভন। রাতে প্রেসিডেন্সি জেল হয়ে শোভনকে তাঁর বেহালার বাড়িতে পাঠানো হবে, এমনই খবর।
‘অসুস্থ’ শোভন নিজেকে কখনও সুস্থ বললেন, আবার কখনও অসুস্থ। কখনও বললেন তাঁকে খেতে দেওয়া হয়নি, আবার কখনও বললেন তিনি খাননি। সব আইনকে উপেক্ষা করে নিজের অসহায়তার প্রমাণ দিতে হাসপাতালের জানলা থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উডবার্নে ওয়ার্ডে কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে বলেন আমার সিরোসিস অফ লিভার হয়নি।
আরও পড়ুন- করোনাকালে দুঃস্থের মুখে অন্ন তুলে দিতে উদ্যোগ বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর
পালটা কুণাল ঘোষ বলেন, শোভনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া না ছাড়া প্রসঙ্গের মধ্যে কোথাও তৃণমূল কংগ্রেস বা রাজ্য সরকার নেই। এটা হাসপাতাল ও জেল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। আইনি ব্যাপার। হাসপাতাল নয়, জেল কর্তৃপক্ষর থেকে তাঁকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
কুণাল আরও বলেন, উনি যদি সুস্থ থাকেন, বা ওনার যদি চিকিৎসার দরকার নাই হয়, তাহলে মিথ্যা কথা বলে, ভুয়ো শরীর খারাপ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এটাও তো অপরাধ। এছাড়া একজন বিচারাধীন বন্দি হাসপাতালে থাকলে তাঁর ওয়ার্ডে আদৌ কী ঘরবাড়ির মতো যাতায়াত করা যায়? আইনের শর্ত মেনে আদৌ কী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া যায়!
আরও পড়ুন- মামলায় ঠিকানা বেহালার,যেতে চান গোলপার্ক, নতুন বিভ্রাটে শোভন






























































































































