ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (super cyclone Yaas) আসছেই। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal seaside) উপকূলেই সর্বশক্তি নিয়ে তার ঝাঁপিয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার তান্ডব লীলা কতটা ভয়ঙ্কর হবে তা এখনই আঁচ করা মুশকিল। কিন্তু কারশেড বা বড় স্টেশনগুলিতে দাঁড়িয়ে (train will be chained) থাকা ট্রেনগুলি শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা সিদ্ধান্ত নিল রেল। করোনার কারণে সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। তবে দূরপাল্লার ট্রেন চালু আছে। তাই ঝড় আসার আগেই ট্রেন গুলোকে বাঁচানোর কথা ভাবতে হচ্ছে রেলকে। পূর্ব রেলের (Indian Railways) জিএম মনোজ যোশী বিভাগীয় কর্তা ও ডিআরএমদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যেই জরুরি বৈঠক করেছেন। একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও শুধু ট্রেন নয় নয় , রেল হাসপাতালগুলিকে ঝড়ের তাণ্ডব থেকে সুরক্ষিত রাখতেও নানা আপৎকালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজাস্টার রিলিফ ট্রেন ও রেস্কিউ কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। জলের পাম্প থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ওষুধের জোগান রাখতে বলা হয়েছে। জল জমে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই মুহূর্তে প্রতিটি রেল হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীতে ভরতি। যাদের মধ্যে অনেকেই ক্রিটিক্যাল স্টেজে। ফলে চিকিৎসা বিভ্রাট যাতে না ঘটে সেজন্য কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

আগামী ২৫ মে থেকে ২৬ মে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলে ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিনগুলিতে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জিএম। দুই ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং, অপারেশন, সিগন্যালিং বিভাগগুলিকে সব রকমের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি থাকতে বলা হয়েছে। হাওড়া কারশেড এলাকা জলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেখান থেকে সমস্ত ট্রেন সরিয়ে অন্যত্র রাখার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা উপযুক্ত রাখা হবে। জল তুলে ফেলার জন্য পাম্পগুলিকে সক্রিয় রাখা হবে। এছাড়া ওভারেহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি হওয়ার আশঙ্কায় টাওয়ার ভ্যান প্রস্তুত রাখার সঙ্গে ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মীদের চব্বিশ ঘণ্টা কাজের জন্য হাজির থাকতে হবে।








































































































































