ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে কাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? এই রোগ প্রতিরোধে কী করা প্রয়োজন?

0
2

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে জারি হয়ছে সতর্কতা। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তেলেঙ্গানায় এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা গেলেও আরও বেশ কিছু রাজ্যে এই রোগের খোঁজ মিলছে। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৪ জনের দেহে মিলেছে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। এই ছত্রাক করোনা আক্রান্ত বা যারা সবে করোনা-মুক্ত হয়েছে তাঁদেরই হবে এমনটা নয়। কোনও মানুষের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

➡️ কী এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস?

⏺️ এই রোগ মিউকরমাইসিটিস নামক একদল ছত্রাক থেকে হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম মিউকরমাইকোসিস। যাঁদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁদের এই সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

➡️ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে কাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?

⏺️ ক্যানসার বা অন্যান্য কর্কট রোগে যারা আক্রান্ত তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

⏺️ যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে অথবা না থাকলেও করোনার জেরে বহু মানুষের সুগার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যাচ্ছে তাদেরও আশঙ্কা থাকছে।

⏺️ যারা করোনা-মুক্ত হচ্ছেন।

⏺️ যাদের স্টেরয়েড নিতে হয়।

আরও পড়ুন-বাংলায় বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ, পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর

➡️ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কী কী উপসর্গ রয়েছে?

⏺️ বুকে ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, গালে ব্যথা, নাকে কালো দাগ, ঝাপসা দৃষ্টি, দাঁতে ও চোয়ালে ব্যথা, দাঁত আলগা হয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ কিংবা নাক থেকে কালচে বা রক্তের মতো পুঁজ বেরোনো।

➡️ এই রোগ নিয়ন্ত্রণে কী করা প্রয়োজন?

⏺️ করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে অনেক সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সেই রোগীর শরীরে দেখা যাচ্ছে। তাই করোনা-চিকিৎসায় স্টেরয়েড কম ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের কথায়, করোনা আক্রান্তদের যাদের সুগার রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ সবচেয়ে ক্ষতিকর। জলদি এই সংক্রমণ ধরা না পড়লে চিকিৎসা কড়া কঠিন।

⏺️ বেশি পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।

⏺️ রক্তে উচ্চ শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

⏺️ করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

Advt