নারদকাণ্ডে(Narada scam) গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(firhad Hakim)। বৃহস্পতিবার নবান্ন(Nabanna) থেকে ফেরার পথে চেতলায় মেয়রের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ফিরহাদ কন্যা সাব্বা হাকিমের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। তাঁর পরিবারকে আশ্বস্ত করে মমতা বলেন, ‘মন খারাপ করো না। ববি জামিন পাবে।’ একই সঙ্গে তিনি এটাও জানান, ‘ববি আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক ওকে অন্যায় ভাবে আটক করা হয়েছে। ওকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।’ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যান সেই সময় ফিরহাদের স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। মেয়র কন্যার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, নারদ কাণ্ডে গ্রেফতারের ঘটনার পর মানসিকভাবে ফিরহাদ হাকিম অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার রাতে সংশোধনাগারের হাসপাতালে রাখা হয়েছিল তাঁকে। প্রায় ১০২ জ্বর আসে তাঁর। সঙ্গে ছিল পেটে ব্যথা। তবে এই অবস্থাতেও হাসপাতালে যেতে রাজি হননি তিনি। সংশোধনাগারের এক আধিকারিককে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তাঁকে নিয়ে যেন কোনওরকম বাড়াবাড়ি না করা হয়।
আরও পড়ুন:মমতার জয়যাত্রার এক দশক, যাত্রা শুরু আর এক লড়াইয়ের
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় গত সোমবার হঠাৎ গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রীসহ চারজনকে। এই তালিকায় ছিলেন মেয়র তথা পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও শহরের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আচমকা সিবিআইয়ের এহেন পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। সোমবারই নিম্ন আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর করা হলেও, মাঝরাতে জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন এই ৪ ভিভিআইপি। কলকাতা হাইকোর্টে চলছে শুনানি।















































































































































