অমানবিক! অসহায় পরিযায়ী শ্রমিককে খাওয়ানো হলো পথ কুকুরদের খাবার

0
3

করোনা মহামারির সময় অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শ্রমিকদের এবং অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সাহায্য করছে। তাদের এই উদ্যোগের জন্য তাদেরকে সাধুবাদ । কিন্তু যখন কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অবিবেচকের মতো কাজ করে? তখন তাকে কী বলবেন?
এমনই একটি ঘটনা
প্রকাশ্যে এসেছে ধূপগিড়িতে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ।

অভুক্ত এবং ক্লান্ত পরিযায়ী শ্রমিককে পথ কুকুরদের জন্য তৈরি করা খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। উপায় না পেয়ে সেই খাবারেই পেটের জ্বালা মিটিয়েছেন ওই শ্রমিক। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে এরকমই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে নেটিজেনদের একাংশ। ওই ঘটনার আবার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছিল, আর সেই রেকর্ডিং এর জন্য প্রিয়াঙ্কুশ বড়ুয়া নামক একজন ব্যক্তিকে আটক করেছে জলপাইগুড়ির পুলিশ।

মঙ্গলবার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে নেট মহলে বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পরিবেশ প্রেমী একটি সংগঠন পথকুকুরদের সঙ্গে একই সঙ্গে বসিয়ে ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিককে খাবার দিচ্ছে। একজন আবার ফলাও করে বলছেন, “কুকুরদের জন্য খাবার এনেছিলাম। কিন্তু উনি অভুক্ত, খাবার চাইলেন তাই দিয়েছি। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যেখানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সেখানে এই ভিডিও দেখার পর অনেকে সরব হয়েছেন। যদিও ওই পরিবেশপ্রেমী সংগঠন দাবি করেছে, পথ কুকুরদের একদম টাটকা খাবার খাওয়ানো হয়। পশুদের খাওয়ানোর আগে তারা নিজেরা একবার খাবারটা খেয়ে দেখে নেন।

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক সদস্যের কথায় আমরা দোকান থেকে ফ্রেশ মাংস কিনে নিয়ে আসি। লকডাউনে সমস্ত দোকান বন্ধ। রান্নার পর সেই মাংস রীতিমতো আমরা খেয়ে দেখি। আমার মনে হয় না কোনও বাড়িতে পশুদের জন্য আলাদাভাবে কোনও রান্না করা হয়। পরিযায়ী শ্রমিকটি খাবার জন্য কাঁদছিলেন। বাধ্য হয়ে এই খাবার দিয়েছি।
অন্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিক যতই খাবার চাক না কেন তাকে বলা উচিত ছিল, আর একটু অপেক্ষা করুন আপনার খাবারের ব্যবস্থা করছি। এটি পথ কুকুরদের খাবার। এমন অমানবিক মানুষ হতে পারে তা আমরা ভাবতেও পারিনা।

Advt