বাংলায় বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ, পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর

0
3

মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারীর তকমা দিতে বলেছে কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতিমধ্যে বাংলাতেও আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। কলকাতায় এই সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি হাতের নাগালে চলে যাওয়ার আগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে সরকারি গাইডলাইন প্রস্তুতির কাজও শুরু হয়েছে। এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।
সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে ওয়েবিনারে রাজ্যের ৫০০ জন সরকারি চিকিৎসককে নিয়ে একটি আলোচনা হয়। তাতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের উপসর্গ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী,
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সেরে ওঠার ২ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। মূলত ফুসফুস এবং মাথা-নাক-চোখ সংলগ্ন অংশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বাসা বাঁধে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ
১. জ্বর, কফ, বুকে ব্যথা, বুকে জল জমা, শ্বাস নিতে সমস্যা
২. ফুসফুসে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ নিশ্চিত হতে বুকের এক্স রে বা স্ক্যান করে দেখতে হবে।
৩.প্রয়োজনে বায়োপসি এবং ফাঙ্গাল কালচার করে দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

৪.চামড়ায় কালো দাগ, নাক থেকে রক্ত বা কালো তরল বার হতে পারে, মুখের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, ফুলে ও অবশ হয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ , মাড়ি ফুলে যাওয়া, চোখে আবছা দেখা ।

৫.মাথা-নাক-চোখ সংলগ্ন অংশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জন্য এমআরআই, এন্ডোস্কপি এবং বায়োপসি করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতে টের পাওয়া যায়।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হয়ছে। তবে করোনার চিকিৎসার সময় থেকেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ মানার পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের। রোগীকে আগে ভাগেই যাতে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ না দেওয়া হয় সেই পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

Advt