জেলে চার নেতা, নিজামে কাঁদলেন ফিরহাদ, প্রেসিডেন্সির বাইরে বৈশাখী, ভোরে পিজিতে মদন, শোভন

0
1

রাত একটা বেজে ৫ মিনিট। নিজাম প্যালেস থেকে বের হলেন সুবত, ফিরহাদ, মদন, শোভন, চার হেভিওয়েট বাইরে তখনও অসংখ্য সমর্থক। সারাদিনের টানা পোড়েনে ৪জনই বিধ্বস্ত। ১৫ গাড়ির কনভয় নিয়ে চার নেতাকে নিয়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন চারজন। ওই রাতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেললেন ফিরহাদ। বিজেপি সিবিআই-ইডি সব কিনে নিতে পারে। তবে বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা আছে। চোখে জল নিয়ে বললেন, কলকাতার মানুষকে কোভিড থেকে বাঁচাতে দিল না। মদন মিত্রর জিজ্ঞাসা, আমারা খারাপ, আর মুকুল, শুভেন্দু ভাল! শোভন বললেন, সময় দেয়নি। বাড়ির পোশাকেই তুলে নিয়ে এসেছে।

প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে ওই রাতে দেখা গেল শোভন বান্ধবী বৈশাখীর কান্না। বৈশাখী আর শোভনপুত্র ওষুধ দেওয়ার জন্য জেলের মূল ফটকের ভিতরে ঢুকলেও ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি। বলা হয় জেল থেকেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এরপরেই চারজনের চেক আপ হয়। তিনজনকেই রাতে একই সেলে রাখা হয়েছে বলে খবর। জেলের বাইরে ফিরহাদ কন্যা সাব্বা হাকিম বলেন, জামিন হওয়ার পর ওয়েব সাইটে দেখার পর বাবাকে আনতে যাই। সিবিআই অফিসাররা উপেক্ষা করেন। বলেন, দিল্লিকে সাথ বাত হো রাহা হ্যায়। অদ্ভুত জামিনের পরেও ছাড়া হলো না। দিল্লি বলবে?

ভোর চারটে নাগাদ মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। মদন মিত্রকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় এলেও গাড়িতে বসে থাকেন। ফিরহাদ ছিলেন জেলেই। শোভনের সুগার প্রেসারের সমস্যা ছিল।

 

১৯তারিখ এই মামলার শুনানি হাই কোর্টে